সরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস কোর্সের ভর্তির সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটগুলোতে বিডিএস কোর্সে ভর্তির সময়সীমা আগামী ৬ এপ্রিল অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। একই সঙ্গে মাইগ্রেশনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের টেলিটকের ওয়েব পোর্টালে অনলাইন মাইগ্রেশনের আবেদন দাখিলের সময়সীমা ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের তথ্য টেলিটকের ওয়েব পোর্টালে অগ্রবর্তীকরণের শেষ তারিখ ৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
আরও পড়ুনচীনে আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডির সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেএদিকে দেশের বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে। এ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। এ কোর্সে মূল ভর্তির কার্যক্রম আগামী ১২ মে শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ছেলেদের জন্য ২৩টি ও মেয়েদের জন্য ২৫টি ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের পছন্দক্রম উল্লেখ বাধ্যতামূলক। অন্যথায় আবেদন বিবেচিত হবে না। ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী অনলাইনে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ২১ এপ্রিল নির্বাচিত ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মেসেজ দেওয়া হবে। প্রথম নিশ্চয়নের শেষ তারিখ ২৬ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় নিশ্চায়ন করতে হবে ৪ মে’র মধ্যে। ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মে।
আরও পড়ুনবুয়েটে ক্লাস শুরু ১২ এপ্রিল, প্রথম বর্ষে হলে উঠতে সর্বোচ্চ ফি ২৭৮৫০ টাকা২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ন ট ল ইউন ট ড ন ট ল কল জ ম ড ক ল কল জ ব ড এস র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ