যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান
Published: 27th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার বিরোধ সমাধানের জন্য ইরান সব দরজা বন্ধ করেনি এবং ওয়াশিংটনের সাথে তেহরান পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা কামাল খারাজি বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তেহরানকে হয় চুক্তি করতে হবে, নইলে সামরিক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে ইরান এই হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বার্তাটিকে প্রতারণামূলক বলে অভিহিত করেছেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ওয়াশিংটন তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পরিবর্তন না করলে আলোচনা অসম্ভব।
বৃহস্পতিবার কামাল খারাজি বলেছেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র সব দরজা বন্ধ করেনি। অন্য পক্ষের মূল্যায়ন, নিজস্ব শর্তাবলী এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি জানিয়েছেন, ইরান শিগগিরই ট্রাম্পের চিঠির জবাব দেবে। তেহরান তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের হুমকি এবং সুযোগ উভয়ই বিবেচনা করবে।
২০১৭-২১ মেয়াদে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপরেই তিনি ইরানের ওপর ব্যাপক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরো জোরদার করে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়