নাটোর জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলোর পাশের পুকুর থেকে চারটি নতুন শটগানসহ ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকা থেকে ডুবুরির সহায়তায় পুলিশ এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো ‘অবৈধ’ বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, কান্দিভিটুয়া এলাকায় জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলো, সাবেক জেলখানা ও সদর থানা এবং সদর হাসপাতালের মাঝখানে তালাবঘাট পুকুর রয়েছে। এই পুকুরে দুই যুবক বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। হঠাৎ একজনের বড়শি পানির নিচে আটকে যায়। শিকারি পানিতে নেমে বড়শি ছাড়াতে গিয়ে কম্বলে জড়ানো একটি দোনলা ও একটি একনলা আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পান। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ডুবুরি তলব করে পুকুর তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই পুকুর থেকে আরও চারটি নতুন শটগান পাওয়া যায়। পুলিশ জব্দতালিকা তৈরি করে অস্ত্রগুলো সদর থানার হেফাজতে নেয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, অস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে এগুলো অবৈধ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রগুলো পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ