সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল পাঁচজনের
Published: 29th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত নয়টায় উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার।
এদিকে ঘটনাস্থল দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। জামালগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া নৌ পুলিশও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার বলেন, মধ্যনগর উপজেলা সদরে শনিবার হাট ছিল। সেখানে কেনাকাটা শেষে নৌকায় ফিরছিলেন ৫০-৬০ যাত্রী। তাতে মালামালও ছিল। নৌকাটি মদনাকান্দি-দুর্গাপুরের কাছাকাছি নোয়াপাড়া এলাকায় এসে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নারী-শিশুসহ পাঁচজন ডুবে মারা যান। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নোয়াপাড়া’র বিউটি চক্রবর্ত্তী (৫০), মোহনগঞ্জের হাতনি গ্রামের কল্পনা সরকার (৪৫) ও কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের ছেলে গঙ্গা সরকার (৫)। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক