বেচারা জেক গ্লিসন, ২০১৮ সাল থেকে অসহ্য যন্ত্রণায় কাটছে একেকটি দিন। হাঁটলেই দুই পায়ে শুরু হয় তীব্র ব্যথা। প্রায় সাড়ে ৬ বছর এমন অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কাটানো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল পোর্টল্যান্ড টিম্বার্সের সাবেক গোলকিপার গ্লিসনের মুখে অবশেষে একটা ‘যুদ্ধ’ জয়ের হাসি ফুটেছে।

আরও পড়ুনব্রাজিল কেন কোচ খুঁজে পাচ্ছে না ১ ঘণ্টা আগে

গ্লিসন নিজের দুরবস্থার জন্য টিম্বার্সের চিকিৎসক রিচার্ড এইচ এডেলসনের বিরুদ্ধে চিকিৎসাজনিত অবহেলার মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় জিতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ডলার ( প্রায় ২৪৩ কোটি টাকা) পাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ গোলকিপার। সম্প্রতি মাল্টনোমাহর ওরেগন সার্কিট আদলত গ্লিসনের পক্ষে এ রায় দিয়েছেন।

ঘটনাটা ২০১৮ সালের। দুই পায়ের হাড়েই চির ধরে গ্লিসনের। সেই সময় ২৮ বছরের টগবগে যুবক গ্লিসনকে যেতে হয় এডেলসনের অস্ত্রোপচারের টেবিলে। অস্ত্রোপচার করে তাঁর দুই পায়েই প্লেট বসান এডেলসন। কিন্তু কিছুদিন পরই গ্লিসনের পায়ে সংক্রমণ শুরু হয়।

সেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একে একে আরও ১৩ বার দুই পায়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে গ্লিসনকে। ছাড়তে হয়েছে ফুটবল খেলাও। জীবনের সুখশান্তি, খেলা—সবই যেন হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সব দিনের কথা মনে করে ৩৪ বছর বয়সী গ্লিসন বলেছেন, ‘খুব কঠিন সাড়ে ছয়টা বছর। কয়েক সপ্তাহ বা কয়েকটা দিন ভালো কাটে। আবার কঠিন সময় যায়।’

আরও পড়ুনআমাকে এসবে জড়াবেন না: ব্রাজিলের নতুন কোচ কে হবেন, তা নিয়ে নেইমার ৩ ঘণ্টা আগে

আদালত প্রমাণ পেয়েছেন, অস্ত্রোপচার করে গ্লিসনের পায়ে চিকিৎসক এডেলসন যে প্লেট বসিয়েছিলেন, সেগুলো যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। গ্লিসনের দুই পায়ের সংক্রমণ এ কারণেই হয়েছে। বিবাদী পক্ষের কৌঁসুলি অবশ্য এটা অস্বীকার করে বলেছেন, এমন প্লেট বসানোর ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই সব সময়ই থাকে।

গ্লিসন যেসব খাতে ২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন, সেগুলো এ রকম—এত দিন ধরে চিকিৎসা করানো বাবদ খরচ, ভবিষ্যতে চিকিৎসা বাবদ খরচ, এই অবস্থার জন্য সাড়ে ছয় বছর খেলতে না পেরে যে বেতন হারিয়েছেন, সেই খরচ, ভবিষ্যতেও আয় করতে না পারার জন্য ক্ষতিপূরণ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর