নেইমার—নামটা শুনলেই চোখের সামনে একটি ছবি ভেসে ওঠে। অমিত প্রতিভাধর ফুটবলার। আমাদের সঙ্গে এই পৃথিবীতেই তাঁর বসবাস। কিন্তু তাঁর চারপাশটা আমাদের মতো নয়, খ্যাতি ও অর্থের সঙ্গে বড় বিশৃঙ্খলও। নানা রকম বিতর্কের ধোঁয়া। এমন সব ধোঁয়ায় বেষ্টিত কোনো মানুষকে কি বাইরে থেকে পুরোটা চেনা যায়? তাঁর ভেতরটাই–বা কতুটুকু বোঝা সম্ভব?

আরও পড়ুনগোল করে জোকোভিচের মতো উদ্‌যাপন, জোকোভিচকেই গোল উৎসর্গ মেসির১১ ঘণ্টা আগে

নেইমারকে যাঁরা বুঝতে চান, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক, চোট ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার ধূসর-কালো ধোঁয়ার আস্তরণ ভেদ করে যাঁরা দেখতে চান আসল নেইমারকে; তারকা নয়, মানুষ নেইমার আসলে কেমন, কেমন তাঁর পরিবার, রোজকার জীবনটাই–বা কেমন, তাঁদের জন্য ২০২২ সালেই মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সের ডকুসিরিজ ‘নেইমার: দ্য পারফেক্ট ক্যাওয়াস’।

গুগলে ‘পারফেক্ট ক্যাওয়াস’ শব্দটির অর্থ সার্চ করলে অর্থ আসে—এমন কেউ, পৃথিবীতে যার অস্তিত্ব বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। তবে গভীরে তাকালে বোঝা যায়, সবকিছু সৃষ্টিকর্তার ইশারায় একদম নিখুঁত পরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটছে। নেইমারের জীবনও যেন তা–ই। বাইরে থেকে তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে যে বিশৃঙখলা আমরা দেখি, এর সবকিছুতেই তাঁর ভূমিকা নেই। কিছু বিষয় আরোপিতও।

নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্রে এভাবেই ধরা দেন নেইমার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।

তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’

তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ