নেইমার—নামটা শুনলেই চোখের সামনে একটি ছবি ভেসে ওঠে। অমিত প্রতিভাধর ফুটবলার। আমাদের সঙ্গে এই পৃথিবীতেই তাঁর বসবাস। কিন্তু তাঁর চারপাশটা আমাদের মতো নয়, খ্যাতি ও অর্থের সঙ্গে বড় বিশৃঙ্খলও। নানা রকম বিতর্কের ধোঁয়া। এমন সব ধোঁয়ায় বেষ্টিত কোনো মানুষকে কি বাইরে থেকে পুরোটা চেনা যায়? তাঁর ভেতরটাই–বা কতুটুকু বোঝা সম্ভব?
আরও পড়ুনগোল করে জোকোভিচের মতো উদ্যাপন, জোকোভিচকেই গোল উৎসর্গ মেসির১১ ঘণ্টা আগেনেইমারকে যাঁরা বুঝতে চান, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক, চোট ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার ধূসর-কালো ধোঁয়ার আস্তরণ ভেদ করে যাঁরা দেখতে চান আসল নেইমারকে; তারকা নয়, মানুষ নেইমার আসলে কেমন, কেমন তাঁর পরিবার, রোজকার জীবনটাই–বা কেমন, তাঁদের জন্য ২০২২ সালেই মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সের ডকুসিরিজ ‘নেইমার: দ্য পারফেক্ট ক্যাওয়াস’।
গুগলে ‘পারফেক্ট ক্যাওয়াস’ শব্দটির অর্থ সার্চ করলে অর্থ আসে—এমন কেউ, পৃথিবীতে যার অস্তিত্ব বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। তবে গভীরে তাকালে বোঝা যায়, সবকিছু সৃষ্টিকর্তার ইশারায় একদম নিখুঁত পরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটছে। নেইমারের জীবনও যেন তা–ই। বাইরে থেকে তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে যে বিশৃঙখলা আমরা দেখি, এর সবকিছুতেই তাঁর ভূমিকা নেই। কিছু বিষয় আরোপিতও।
নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্রে এভাবেই ধরা দেন নেইমার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুর ইলেট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ
পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহে (ইটিসি) যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’। আধুনিক এই ব্যবস্থার ফলে যানবাহনগুলোর আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা যাবে নগদের মাধ্যমে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। এর ফলে টোল প্লাজায় থামা ছাড়াই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে এবং যানজট ও ভোগান্তি কমাবে।
রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ দুইপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী।
অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতে আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এই ব্যবস্থা চালু করে সাধারণ যাত্রীদের উপকারে আনা আমাদের লক্ষ্য।
নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্টের উপযোগী করে তুলছি। সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
নগদের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, এই চুক্তি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নে একটি মাইলফলক। তবে বিআরটিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।
ডাক বিভাগের পরিচালিত নগদ বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা, সহজসেবা ও গ্রাহকের আস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সেবাটি।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ