ঈদের দিনে নারায়ণগঞ্জে শহীদ সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
Published: 31st, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ সুমাইয়া আক্তারের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ সোমবার ঈদের দিন সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাড়িতে গিয়ে সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা সুমাইয়ার ১০ মাস বয়সী শিশুকন্যা সুয়াইবাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, এনসিপি নারায়ণগঞ্জ সংগঠক জোবায়ের হোসেন, ফয়সাল আহমেদ, ফজলে রাব্বি, সোহেল খান সিদ্দিক, রাইসুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুনসুমাইয়াকে ছাড়া সোয়াইবার ঈদ৩০ মার্চ ২০২৫নানি আসমা বেগমের কোলে শিশু সোয়াইবা। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।