ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের প্রভাব, বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে আতঙ্ক
Published: 31st, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক এক করে সব দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এর পাল্টা হিসেবে কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানেরা মার্কিন পণ্যে একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাগ্যুদ্ধও চলছে। তবে এরই মধ্যে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে বিশেষ করে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও মুনাফায় সরাসরি প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কায় তাদের শেয়ারের দর পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা ভয়-আতঙ্কে এসব শেয়ার ছেড়ে দিয়ে সেফ হ্যাভেন বা বিনিয়োগের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গ’ খ্যাত সোনায় বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। এই প্রবণতা বিশ্বে আবার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বুধবারকে ‘মুক্তি দিবস’ ঘোষণা করেছেন। এদিন তিনি নতুন করে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন। এর আগে ঘোষিত কিছু বর্ধিত শুল্ক বাস্তবায়ন শুরু হবে এদিন থেকে। এতে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং এমনকি ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্র নির্বিশেষে সর্বত্রই শেয়ারবাজারের সূচক পড়ে পড়ছে। আজ সোমবার সোমবার বিশ্বব্যাপী বৃহৎ শেয়ারবাজারগুলোয় দরপতন ঘটেছে। বিশেষ করে জাপানের প্রধান শেয়ারবাজার টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক ৪ শতাংশের বেশি পড়ে গেছে। এর প্রভাবে এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারগুলোতেও পতন ঘটে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত রোববারের একটি ঘোষণা বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। সেদিন তিনি বলেছেন, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, শুধু সেগুলোতেই নয়, ঢালাওভাবে সব দেশই বর্ধিত শুল্কের আওতায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ নিয়ে এজে বেল নামক সংস্থার বিনিয়োগ পরিচালক রাস মোল্ড বলেন, ট্রাম্পই বাজারে খারাপ দিন আসার মূল কারণ। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানিকারী সব দেশকে শুল্কের লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছেন। যার ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরও অন্ধকার হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণায় বহুজাতিক গাড়ি নির্মাতারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয় এমন সব যানবাহন ও যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে আজ ইউরোপের শেয়ারবাজারে পোর্শে, ভক্সওয়াগনসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শেয়ারের দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। এশিয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি বাজারজাতকারী জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োটাসহ নিশান ও মাজদার শেয়ার দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে।
বহুজাতিক গবেষণা, ঋণমান নির্ণয়কারী ও বিনিয়োগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মুডিস-এর অর্থনীতিবিদেরা লিখেছেন, ‘গাড়িতে শুল্ক বাড়ানোয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার। বিদেশি গাড়ি আমদানির ওপর ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, যা বুধবার থেকে কার্যকর হতে চলেছে।
আজ জাপানের টোকিওতে নিক্কেই ২২৫ সূচক ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ, চীনের সাংহাইয়ের সমন্বিত সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপে লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক ১ দশমিক ২ শতাংশ, ফ্রান্সের প্যারিসের সিএসি ৪০ সূচক ১ দশমিক ৮ শতাংশ, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের ড্যাক্স সূচক ১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ইউরোপের আঞ্চলিক সূচক স্টক্স ৬০০ সূচক ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। আজ ফ্রান্সের ভিডিও গেমের কোম্পানি ইউবিসফটের শেয়ারের দাম ১৫ শতাংশ কমেছে।
মজার ব্যাপার হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণায় তাঁর শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বিপদে পড়তে চলেছেন। কারণ, মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দরও আজ দিনের লেনদেনের শুরুতেই ৭ শতাংশ পড়ে যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক লেনদেনও আজ লেনদেনের প্রথম দিকে ভালো হয়নি। এর মধ্যে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, নাসড্যাক ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে।
টেক জায়ান্ট তথা প্রযুক্তি খাতের বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, অ্যালফাবেট ও মেটা প্রাথমিক লেনদেনে পতন ঘটেছে। বিশেষ করে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পড়ে গেছে। সূত্র: এএফপি ও বিবিসি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ব ক শ য় রব জ র ক ১ দশম ক ল নদ ন শ কম ছ সব দ শ ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
নেই নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড ও ছুটি
নিয়োগপত্র নেই। এ কারণে চাকরির নিশ্চয়তাও নেই। দেওয়া হয় না পরিচয়পত্র। নেই কর্ম ঘণ্টার হিসাব। তবে রয়েছে মজুরিবৈষম্য ও জীবনের ঝুঁকি। এ চিত্র খুলনার বরফকলে কর্মরত বরফ শ্রমিকদের।
অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বরফকলের শ্রমিকেরা জানেন না মে দিবসের অর্থ। তারা শুধু এটুকু জানেন, কাজ থাকলে মজুরি পাবেন, অন্যথায় জুটবে না কিছু। খুলনার নতুন বাজার, রূপসা, শিপইয়ার্ড ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বরফ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ঝুঁকি ও বৈষম্যের এই চিত্র।
সরেজমিনে জানা গেছে, লবণ পানি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংমিশ্রণে বরফের প্রতিটি ক্যান তৈরি হয়। এ কাজে প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যুসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় হাত-পা ভিজে ঠান্ডা থাকায় ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়। এর বাইরে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগেন এখানকার শ্রমিকেরা। পাতলা বরফে অনেক সময় হাত-পা কেটে যায়। কিন্তু মালিক বা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের অ্যাপ্রোন বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন না। তবে দুর্ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আরো পড়ুন:
ফুড ডেলিভারিম্যান: খাবারের রাজ্যে অতৃপ্ত দিনরাত
মহান মে দিবস: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সংস্কারে জোর সরকারের
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার, নিউমার্কেট, শিপইয়ার্ড, রায়েরমহল এবং রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি বরফকল রয়েছে। এর মধ্যে নতুন বাজার ও পূর্ব রূপসায় সর্বাধিক বরফকল রয়েছে। এসব কলে গড়ে দশ জন হিসেবে দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।
রূপসার নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করেন মোহাম্মদ রাসেল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি হলেও পরিবার নিয়ে রূপসার জাবুসা এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই বরফকলে কাজ করছেন তিনি। রাসেল জানান, তাদের মাসিক বেতন নেই। নেই নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র। মূলত উৎপাদনের উপর প্রতি পিস বরফের ক্যান অনুযায়ী ১২ টাকা হারে মজুরি পান। নামমাত্র এ মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার ঠিকমতো চলে না।
‘‘তিন বছর আগে নির্ধারণ করা মজুরি এখনো চলছে। লোকসানের অজুহাতে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়াতে চান না। তাদের মতো শ্রমিকদের কোন বেতন-বোনাস নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে অর্থাৎ কাজ থাকলে মজুরি আছে কাজ না থাকলে নেই। মালিকদের এ সিদ্ধান্ত না মানলে চাকরিও থাকে না।’’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন রাসেল হোসেন।
একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গড়ে প্রতিমাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা মজুরি পাই। কিন্তু মাসিক খাবার খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা চলে যায়।’’
তবে জাকির হোসেন ব্যাচেলর হওয়ায় কারখানার মধ্যেই থাকেন। বিয়ের পর এ কাজ করার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।
বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১-এ অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ সেলিম শেখ। তার জন্ম নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা হলেও কর্মসংস্থানের কারণে রুপসার বাগমারা গ্রামে বসবাস করছেন। তিনি জানান, বর্তমান বয়স ৮৪। ২০ বছর বয়স থেকেই বরফ কারখানার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে হেলপার হিসেবে ২৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অপারেটর হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করতে হয়। তবে সবসময় উৎপাদন না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা কারখানায় থাকতে হয়। ছুটি পান না।
‘অ্যামোনিয়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। তবে তিনি কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হননি বলে জানান তিনি।
‘মায়ের দোয়া আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে’র শ্রমিক জাকারিয়া হাওলাদার বলেন, ‘‘চার বছর বরফকলে কাজ করছি। চাকরির ভবিষ্যৎ নেই। শ্রম দিতে পারলে মজুরি হয়, না হলে হয় না। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেন না মালিকপক্ষ। বেতন বাড়ানোর কথা বললে তারা আমলে নেন না।’’
একই এলাকার ‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করছেন মোঃ মুন্না গাজী ও মোঃ হাসান শেখ। তারা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুজনেই মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’র ম্যানেজার আশিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষায় উদাসীন। এখানে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার মাঝেমধ্যেই লিক হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৩২টি আইস উৎপাদনের ক্যানের প্লান্ট রয়েছে। তবে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ক্যান বরফ উৎপাদন হয়। ছয়জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।
‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ- ২'র ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘বরফের মূল ক্রেতা চিংড়ি ও সাদা মাছের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ ও দোকানে শরবত বিক্রেতারাও কারখানা থেকে বরফ কিনে নেন। গ্রীষ্ম মৌসুমের ৬ মাস চাহিদা থাকে এবং কিছুটা লাভের মুখ দেখা যায়। তবে শীত মৌসুমের ছয় মাস বরফের চাহিদা কম থাকে। তখন কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি দিয়ে লোকসান গুণতে হয়।’’
জামাল উদ্দিন স্বীকার করেন কারখানায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও তা এড়াতে কোন সরঞ্জাম নেই। তবে অপারেটরদের অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝুঁকি প্রতিরোধে মাক্স সরবরাহ করা হয়।
‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১'র মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রিয়াদ-উল-জান্নাত সৈকত বলেন, ‘‘ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কখনো লাভ, কখনো লোকসান এভাবেই চলছে। গত বছর কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৯ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’’
তবে লাভ হলে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন রূপসা বেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি বরফকলের ৪০ জন শ্রমিক তাদের ইউনিয়নের সদস্য। বিগত দেড় বছর আগে মজুরির সমস্যা নিয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে দুই একজন শ্রমিক অভিযোগ করলে ইউনিয়নের মাধ্যমে সেটির সমাধান করে দেন তারা। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসে না।’’
বরফকলের শ্রমিকদের নিয়ে তারা মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তারা//