মেহেরপুরে ঈদের দিন সোমবার বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। সন্ধ্যায় পৌর শহরের কাছে আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল কলেজের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান মোল্লার ছেলে অগ্রণী ব্যাংক অফিসার আক্তারুজ্জান শোভন (২৭), ভ্যানচালক হাসান আলীর ছেলে শিশু যোবায়ের হোসেন (১০) ও সদর উপজলোর বাড়িবাকা গ্রামের মোখলছেুর রহমানের ছেলে আল ইমরান।

আক্তারুজ্জামন ঘটনাস্থলেই মারা যান। শিশু যোবায়ের হোসেন ও আল ইমরানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে মারা যান। আহতরা হলো, গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক হাসান আলী ও মাইক্রোচালক গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন পলাশ। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে যোবায়ের ও আল ইমরানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথেই তারা মারা যান।  

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মাইক্রোবাস আমঝুপি এলাকা থেকে বেপরোয়া গতিতে মেহেরপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি ভ্যানে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলের সঙ্গ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।  

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবা উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মাইক্রোবাস চালক হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটসেন দেখা হবে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত
  • কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
  • আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাস্থলে নরেন্দ্র মোদী, আহতদের দেখতে গেলেন হাসপাতালে