দেশের টেলিভিশন দর্শকরা ঈদের সময় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য। ঈদের বিশেষ 'ইত্যাদি' বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে। এটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।

বরাবরের মতো ঈদের ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের 'ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ'-এই গানটি দিয়ে। এবার গানটি পরিবেশন করবেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

ইত্যাদিতে একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। 'দেশের গানটি'তে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন। আর তাদের সঙ্গে রয়েছেন এই প্রজন্মের ১০ জন শিল্পী। তারা হলেন- ইমরান মাহমুদুল, রাজিব, অয়ন চাকলাদার, রাশেদ, সাব্বির জামান, সিঁথি সাহা, অবন্তী সিঁথি, আতিয়া আনিসা, মালিহা তাবাসসুম খেয়া ও সানিয়া সুলতানা লিজা।

এবার প্রথম একসঙ্গে 'ইত্যাদি'র একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান। গানটির কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।

অন্য আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ এবং অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

'ইত্যাদি'র নাচ মানেই বর্ণাঢ্য আয়োজন। এবার নাচে অংশগ্রহণ করেছেন সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা। তাদের সঙ্গে রয়েছে একদল নৃত্যশিল্পী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। নাচটির সংগীত পরিচালনা করেছেন আকাশ মাহমুদ।

অনলাইনকেন্দ্রিক তিনটি ভিন্ন ঘটনা সুরে সুরে তুলে ধরেছেন তিন জনপ্রিয় দম্পতি। তারা হলেন, শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম-নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ দম্পতি।

অন্যদিকে, মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত আর একটি মিউজিক্যাল ড্রামায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান।

সমকালীন ও বক্তব্যধর্মী এবারের দলীয় সংগীতের বিষয় 'দেখার চোখ ও বিবেকের চোখ' নিয়ে। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও শবনম বুবলি। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। কণ্ঠ দিয়েছেন তানজিনা রুমা, রাজিব ও খেয়া। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মামুন।

বিদেশিদের অভিনয়ে এবারে থাকবে 'গুজব'। এবারও মুখোমুখি হয়েছেন 'ইত্যাদি'র নিয়মিত চরিত্র নাতি ও কাশেম টিভির রিপোর্টার। একটি পর্বে অংশ নিয়েছেন সালাউদ্দিন লাভলু ও শাহেদ আলী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ নট র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ