ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’ আজ, থাকছে নানান চমক
Published: 1st, April 2025 GMT
দেশের টেলিভিশন দর্শকরা ঈদের সময় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য। ঈদের বিশেষ 'ইত্যাদি' বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে। এটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।
বরাবরের মতো ঈদের ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের 'ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ'-এই গানটি দিয়ে। এবার গানটি পরিবেশন করবেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
ইত্যাদিতে একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। 'দেশের গানটি'তে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন। আর তাদের সঙ্গে রয়েছেন এই প্রজন্মের ১০ জন শিল্পী। তারা হলেন- ইমরান মাহমুদুল, রাজিব, অয়ন চাকলাদার, রাশেদ, সাব্বির জামান, সিঁথি সাহা, অবন্তী সিঁথি, আতিয়া আনিসা, মালিহা তাবাসসুম খেয়া ও সানিয়া সুলতানা লিজা।
এবার প্রথম একসঙ্গে 'ইত্যাদি'র একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান। গানটির কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।
অন্য আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ এবং অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল।
'ইত্যাদি'র নাচ মানেই বর্ণাঢ্য আয়োজন। এবার নাচে অংশগ্রহণ করেছেন সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা। তাদের সঙ্গে রয়েছে একদল নৃত্যশিল্পী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। নাচটির সংগীত পরিচালনা করেছেন আকাশ মাহমুদ।
অনলাইনকেন্দ্রিক তিনটি ভিন্ন ঘটনা সুরে সুরে তুলে ধরেছেন তিন জনপ্রিয় দম্পতি। তারা হলেন, শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম-নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ দম্পতি।
অন্যদিকে, মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত আর একটি মিউজিক্যাল ড্রামায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান।
সমকালীন ও বক্তব্যধর্মী এবারের দলীয় সংগীতের বিষয় 'দেখার চোখ ও বিবেকের চোখ' নিয়ে। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও শবনম বুবলি। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। কণ্ঠ দিয়েছেন তানজিনা রুমা, রাজিব ও খেয়া। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মামুন।
বিদেশিদের অভিনয়ে এবারে থাকবে 'গুজব'। এবারও মুখোমুখি হয়েছেন 'ইত্যাদি'র নিয়মিত চরিত্র নাতি ও কাশেম টিভির রিপোর্টার। একটি পর্বে অংশ নিয়েছেন সালাউদ্দিন লাভলু ও শাহেদ আলী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?