কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেহেদী হাসানকে সাত দিনের মধ্যে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাব্বির হোসেন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসিকে বদলির হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার (২ এপ্রিল) সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ওসি শেখ মেহেদী হাসান।

সাব্বির হোসেন থানার ভেতর উদ্ধত আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওসি শেখ মেহেদী হাসান। অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের সুগ্রীবপুর গ্রামের আবুল হোসেন পুন্টুর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের পর বিরোধ মীমাংসার জন্য থানায় আসেন স্থানীয়রা। তারা মীমাংসার বিয়ে একমত হলেও বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাব্বির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। থানার ভেতর দাঁড়িয়ে এসপি ও ডিআইজিকে কল করে সাত দিনের মধ্যে ওসিকে বদলির হুমকি দেন সাব্বির হোসেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইবি থানার ওসি শেখ মেহেদী হাসান বলেন, ইবি থানাধীন সুগ্রীবপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা করা হয় থানায়। এলাকাবাসী আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে সমন্বয়ক পরিচয়দাতা সাব্বির উদ্ধত আচরণ করেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এক জন শিক্ষার্থী বা সমন্বয়কের কাছ থেকে বিষয়টি প্রত্যাশিত না। 

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সাব্বির মাঝে-মধ্যেই থানার অফিসারদের হুমকি দেন। সমন্বয়ক পরিচয়ে তিনি পুলিশ অফিসারদের খাগড়াছড়ি-বান্দরবানে ট্রান্সফারের হুমকি দেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া সাব্বির হোসেন বলেন, ঘটনাটি গ্রাম্যভাবে সমাধান হয়েছে।

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ত্রাণ নেওয়ার কয়েক মিনিট পর হত্যা করা হয় ক্ষুধার্ত শিশুটিকে: সাবেক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা
  • থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি
  • থানায় হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার আহ্বান আইজিপির
  • ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
  • শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার
  • শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 
  • ‘আমি কী অপরাধ করেছি’— সবাই জানেন শিরোনামটা...
  • নারীদের নিয়ে বারে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণ, আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন