যার ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ২১৩, সে বিক্রেতা গ্রেপ্তার
Published: 3rd, April 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরে ঈদের দিন অস্থায়ী দোকানের ফুচকা খেয়ে ২১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অবশেষে পলাতক থাকা সেই ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাশ।
ঘটনার দুইদিন পর মনির নামে ওই ফুসকা বিক্রেতা মনিরের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় একই উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের তাছাওয়ার হুসাইনের ছেলে তানজিম হুসাইন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেন ঢাকুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।
ঈদের দিন মনির হোসেনের ফুচকা খেয়ে রাত থেকে একের পর এক মানুষ পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে। পরের দিন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ফুচকা দোকানিকে আটকে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
শুভ্র প্রকাশ দাশ বলেন, “মনির হোসেনের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তানজিম হোসাইন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
এক্স পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে মার্কিন সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।’
আলাপকালে হেগসেথকে রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তান একটি ‘দুর্বৃত্ত’ রাষ্ট্র হিসেবে সামনে এসেছে। তারা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিচ্ছে এবং অঞ্চলকে ‘অস্থিতিশীল’ করছে। সন্ত্রাসবাদ এড়িয়ে যেতে পারে না বিশ্ব।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি করেছে তারা। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর থেকে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে।