যশোরের অভয়নগরে ঈদের দিন অস্থায়ী দোকানের ফুচকা খেয়ে ২১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অবশেষে পলাতক থাকা সেই ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাশ।

ঘটনার দুইদিন পর মনির নামে ওই ফুসকা বিক্রেতা মনিরের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় একই উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের তাছাওয়ার হুসাইনের ছেলে তানজিম হুসাইন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেন ঢাকুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।

ঈদের দিন মনির হোসেনের ফুচকা খেয়ে রাত থেকে একের পর এক মানুষ পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে। পরের দিন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ফুচকা দোকানিকে আটকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। 

শুভ্র প্রকাশ দাশ বলেন, “মনির হোসেনের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তানজিম হোসাইন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী বর্ষণে ভবদহের গ্রামে গ্রামে জলাবদ্ধতা

যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল গঠিত। এ অঞ্চলের অনেক গ্রাম বছরে চার মাস জলাবদ্ধ থাকে। সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে যশোরের মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার ৩০টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। নদী দিয়ে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

ভবদহ এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদী দিয়ে। পলি পড়ে নদীগুলো নাব্য হারিয়েছে। ফলে, ভারী বৃষ্টির পানি সহজে ও দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না। 

যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, যশোরে জুন মাসে স্বাভাবিক গড় বৃষ্টিপাত ধরা হয় ২৯৮ দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং জুলাই মাসে ৩০৪ দশমিক ১০ মিলিমিটার। গত জুন মাসে যশোরে ২৯৯ মিলিমিটার এবং চলতি জুলাই মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত ৫১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে, ভবদহ অঞ্চলের ৫২টি বিল প্লাবিত হয়েছে। বিল উপচে পানি ঢুকতে শুরু করেছে আশপাশের গ্রামগুলোতে।

সুন্দলী গ্রামের তন্ময় বিশ্বাস বলেছেন, “উঠোনে প্রায় হাঁটুজল। আরেকটু বাড়লে ঘরে জল উঠে যাবে। ঘরে জল উঠলে রাস্তায় ওঠা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।”

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেছেন, “ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের মধ্যে মাত্র ছয়টি গেট খোলা হয়েছে। সবগুলো গেট খুলে দিলে আরো বেশি জল নামত। কিন্তু, পানি উন্নয়ন বোর্ড সব গেট খুলছে না। এলাকার বিলে টাইডল রিভার ম্যানেজমেন্ট (জোয়ারাধার) চালু না করলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি নেই।”  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেছেন, “নদীতে জোয়ারের সময় ভবদহ স্লুইসগেটের ২১ ভেন্টের ওপর চারটি বড় ও ১৫টি ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে পানি সেচে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ভাটির সময় ছয়টি গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। গেটগুলো দিয়ে প্রচুর পানি বের হচ্ছে। এতে এলাকার পানি দ্রুত সরে যাবে।” 

তিনি বলেন, “ভবদহ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য সেনাবাহিনী আগামী মাসে ছয়টি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খননে কাজ শুরু করবে। এছাড়া, আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। দুই-এক মাসের মধ্যে আমডাঙ্গা খাল সংস্কারে কাজ শুরু হবে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যবসায়ীকে বুকসমান বালুতে পুঁতে নির্যাতন, টাকা আদায়, অভিযোগ বিএনপি নেতা ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
  • ভারী বর্ষণে ভবদহের গ্রামে গ্রামে জলাবদ্ধতা