কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে ভারতীয় চোরাকারবারী নিহত
Published: 3rd, April 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের রাবার বুলেটে এক ভারতীয় চোরাকারবারী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম।
এইদিন সকালে উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলারের পাশে শূন্য লাইন থেকে প্রায় ২শ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় মরাকুটি (ভোরাম পয়োস্তি) এলাকায় এ গুলির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহল জোরদার করে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়।
পরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে গোরকমন্ডল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের পক্ষে ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের অধীন ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিতে নিহত ওই ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম জাহানুর আলম (২৪)। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে।
সীমান্তবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে একদল ভারতীয় চোরাকারবারী ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মালের পোটলা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসার চেষ্টা করে। এ সময় ভারতীয় ভারবান্দা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ভারতীয় চোরাকারবারী জাহানুর রাবার বুলেটের স্প্রিন্ট বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের এক জলাশয়ে পরে নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বেলা ১১ টার দিকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মেহেদী ইমাম ওই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.
ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ