মাদারীপুরের ডিমচরে কৃষকের হাত কেটে নিল সন্ত্রাসীরা
Published: 4th, April 2025 GMT
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিমচর গ্রামের বাসিন্দা মফিজ সরদারের ছেলে ইউনুস সরদার (৫০) এর হাত কেটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
পরে তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোরে ইউনুস সরদারের ওপর এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা ।
ইউনুস সরদারের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার ভোরে ইউনুস সরদারের ঘরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায় । এ সময় ঘরে লুটপাট করে এবং ইউনুসকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে তার হাত বিচ্ছিন্ন করে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাধা দিতে এলে ইউনুসের স্ত্রীকেও পিটিয়ে জখম করে। স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে ইউনুসকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, “কারা কেন হামলা চালিয়েছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। কি কারণে হামলা হয়েছে তদন্তের পরে বলা যাবে।”
ঢাকা/বেলাল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন স সরদ র সরদ র র
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়