৯ মাসে সাত সিরিজ, ব্যস্ত সূচিতে বাংলাদেশ
Published: 4th, April 2025 GMT
২০২৫ সালটা বেশ ব্যস্তভাবে কাটাতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আগামী ৯ মাসে জিম্বাবুয়ে থেকে শুরু করে আয়ারল্যান্ড পর্যন্ত সাতটি আন্তর্জাতিক সিরিজে অংশ নেবে টাইগাররা। প্রতি মাসেই মাঠে নামতে হবে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে।
এপ্রিলেই সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যস্ত ক্রিকেট বছরের। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে যাত্রা। এরপর মে মাসে টাইগাররা সফর করবে পাকিস্তানে, যেখানে পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। জুন মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে যাবে শ্রীলঙ্কা। সেখানে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই মাঠে নামবে দুই দল।
জুলাইয়ে আবার পাকিস্তান আসবে বাংলাদেশে। তবে এবার শুধু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। এরপর আগস্টে শক্তিশালী ভারত দল সফরে আসবে। তারা খেলবে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অক্টোবরে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজেও থাকবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
সবশেষে নভেম্বর মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের এই সিরিজে থাকছে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে ব্যস্ত ও চ্যালেঞ্জিং একটি বছর অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’