সিম কেনার কথা বলে ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ
Published: 4th, April 2025 GMT
বাগেরহাটে সিম কেনার কথা বলে ডেকে একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির বিক্রয় কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের সিঅ্যান্ডবি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের করোরী গ্রামের পরিতোষ দাসের ছেলে সজীব দাশ (১৯), কিংকর দাসের ছেলে লিখন দাস (২০) ও ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শেখ নজরুল ইসলাম (২২)। তাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের স্বীকার ওই নারী সিম বিক্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একজন সিম কিনবেন বলে ওই নারীকে সিঅ্যান্ডবি বাজারে আসতে বলেন। তিনি রাত ৮টার দিকে সিঅ্যান্ডবি বাজারে আসেন, তবে সেখানে কেউকে পাননি তিনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাকা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে তার মুখ চেপে ব্রিজের নিচে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। সেখানে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। সে ঘটনা ধারণ করে। পরে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।