কাপাসিয়ায় ‘আপন-দুলাল’ নাটক মঞ্চায়ন আজ
Published: 5th, April 2025 GMT
মুসল্লিদের বাধায় স্থগিত ‘আপন-দুলাল’ নাটক আজ শনিবার বেলা ১১টায় মঞ্চায়ন হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আয়োজক মো. শামসুল হক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটক মঞ্চায়নের ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাস্নীম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নূরুল আমীন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুল বারিক নাটক মঞ্চায়ন বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রানীগঞ্জ বাজার মসজিদের সভাপতি ব্যবসায়ী মো.
রানীগঞ্জ বাজার মসজিদের ইমাম মো. আজিজুল হক তুষার জানান, অশ্লীলতামুক্ত নাটক মঞ্চস্থ হলে তাঁর আপত্তি থাকবে না।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা বলেন, অশ্লীলতা ও মাদকমুক্ত পরিবেশে নাটক মঞ্চস্থ হলে তাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
ওসি মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ইউএনও তামান্না তাস্নীম জানান, নাটকটি সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে মঞ্চস্থ করার জন্য আয়োজককে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
রাজনৈতিক বিরোধে নাটক মঞ্চায়ন বাতিল: পুলিশ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির সিনিয়র ও জুনিয়র নেতাদের বিরোধের কারণে ‘আপন-দুলাল’ নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবকু পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করা হয়। এ ছাড়া গণমাধ্যমে ইমামের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।