২ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিল ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’
Published: 5th, April 2025 GMT
দুই দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’। তারা আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। পাশাপাশি আলোচনা সভা করবে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদ বলছে, তারা ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবি) ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে। পরিষদের দুই দফা দাবি হলো চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সব সুযোগ–সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না পাওয়া বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের শিকার চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। তদন্ত কমিশনের প্রজ্ঞাপন থেকে উল্লিখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ ও কার্যপরিধি–২–এর (ঙ) নম্বর ধারা প্রত্যাহার করতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কমিশনকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত নিরপরাধ কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
ফয়জুল আলম বলেন, চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সব যুক্তিসম্মত সমস্যার সমাধান ১৫ মার্চের মধ্যে করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্বাস প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করা হয়নি। তাঁরা নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাঁরা মনে করেন, যৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার ও দাবি আদায় করা সম্ভব হবে। এ জন্য তাঁরা ছয়টি নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।