নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নারীসহ আহত ১০
Published: 5th, April 2025 GMT
নরসিংদীতে স্থানীয় কবরস্থানে জমি দান করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী নরসিংদীর মাধবদী থানার ডৌকাদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের মধ্যে কুলসুম বেগম (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও শাহীন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুন্নী আক্তার ও (৩৫), আব্দুস সাত্তার (৪০), খোকন মিয়াকে (৩৫) আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন কুলসুম, মুন্নী ও সাত্তার।
আহতদের স্বজনরা জানান, ডৌকাদি পাড়ায় সামাজিক কবরস্থানে এক শতাংশ জায়গা দান করা নিয়ে শাহীন ও মোখলেছের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। আজ শনিবার এ নিয়ে ফের সালিশে বসলে কবরস্থানের পাশে শাহীনের পরিবারের এক শতাংশ জায়গা দিয়ে দিলে মোখলেছের পরিবারের পক্ষ থেকে শাহীনের পরিবারকে তাদের বাড়ির পাশে এক শতাংশ জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোখলেছের পরিবার প্রত্যাখান করলে সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির হয়। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ ব্যপারে কোনো পক্ষই এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।