ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে আমরা অনেকেই নিয়মিত অনলাইন থেকে পিডিএফ ফাইল নামিয়ে থাকি। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে আয়করবিষয়ক ভুয়া নথিযুক্ত পিডিএফ ফাইলের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে সবাইকে সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট। ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি কম্পিউটারে প্রবেশ করেই ব্যবহারকারীদের লগইন ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে আয়করবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানানোর প্রলোভনে ই–মেইলের সঙ্গে শর্ট লিংক বা কিউআর কোডযুক্ত পিডিএফ ফাইল যুক্ত করে দেয় সাইবার অপরাধীরা। পিডিএফ ফাইলে থাকা কিউআর কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই একটি ওয়েবসাইট চালু হয় এবং ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রেমকস’, ‘ল্যাট্রোডেক্টাস’, ‘এইএইচকে বট’, ‘গুলোডার’ এবং ‘ব্রুটরেটেল সি ফোর’ নামের বিভিন্ন ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর ব্যবহারকারীদের অজান্তেই কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি পর্দার স্ক্রিনশট নিয়ে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিভিন্ন পাসওয়ার্ড চলে যায় সাইবার অপরাধীদের দখলে।

কয়েক মাস ধরেই এ কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে অপরিচিত উৎস থেকে পাওয়া কিউআর কোড বা লিংকযুক্ত পিডিএফ ফাইল থেকে সাবধান থাকার পাশাপাশি ফিশিং হামলা প্রতিরোধে নিরাপদ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পালো আল্টো নেটওয়ার্কস জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে কিউআর কোডভিত্তিক ফিশিং আক্রমণের হার বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে আক্রমণকারীরা সরাসরি ক্ষতিকর ডোমেইনের ইউআরএল না দিয়ে ব্যবহার করছে বিভিন্ন রিডাইরেকশন পদ্ধতি বা ওপেন রিডাইরেক্ট লিংক, যাতে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া সহজ হয়।

সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উআর ক ড ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ