ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
Published: 7th, April 2025 GMT
ম্যানচেস্টার সিটির সামনে সুযোগ ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ঢুকার। চেলসি ড্র করায় সিটিজেনদের সামনে এই সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। তবে রবিবার (৬ মার্চ) নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করল ম্যানসিটি। সেরা চারে ঢুকার সুযোগ হারিয়ে, সিটি বস পেপে গার্দিওলা, ইউনাইটেড সমর্থকদের শ্রেণহীন বলে অ্যাখায়িত করলেন। ডার্বি জিততে না পেরে,
সবশেষ ৫ বছর আগে ম্যানচেস্টার ডার্বি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। মহামারী কোভিড-১৯ চলাকালীন ২০২০ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই ম্যাচটা হয়েছিল। এরপর হয়ে গেছে আরো ১২ ম্যাচ, তবে গোলহীন ড্র হয়নি। এই সময়ের মাঝে ইউনাইটেড ৩ জন কোচ বদল করেছে।
ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেনের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। তাই গার্দিওলা ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় তাকে তুলে নেন জার্মেই ডকুর বদলি হিসেবে। ইউনাইটেড বিপক্ষে ধরা ‘চ্যান্টে’ (দর্শকদের সুরেলা স্লোগান) ফোডেনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল। রেড ডেভিল সমর্থকরা এই মিডফিল্ডারের মাকে উদ্দেশ্য করেও চ্যান্ট করেছে। অথচ দুই দলের স্কোয়াডে স্থানীয় দুই প্লেয়ারদের একজন ফোডেন।
আরো পড়ুন:
ডার্বির আগে আমোরিমের চোখ ইউনাইটেডের উন্নতিতে
ম্যানসিটি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ডি ব্রুইন
ম্যাচের প্রথমার্ধে সিটির আক্রমণ চলছিল স্ট্রেটফোর্ড এন্ডের দিকে। তখনই কিছু ইউনাইটেড সমর্থক ফোডেনের মা সম্পর্কে অশালীন চ্যান্ট ধরে। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বগার্দিওলা বলেন, ‘এটা শ্রেণির অভাব। ইউনাইটেড নয়, এটা কিছু মানুষের আচরণ। খেলাধুলায়, আমরা কোচরা, মালিক সবসময়ই প্রকাশ্যে থাকি। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের মা সম্পর্কে এমন কটূক্তি! এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক, শ্রেণিহীন। যারা এটা করেছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।”
এই ড্রয়ের ফলে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম চলমান মৌসুমে গার্দিওলার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই অপরাজিত থাকলেন। যার মাঝে দুবার রেড ডেভিলদের কোচ হিসেবে। আরেকবার স্পোর্টিং লিসবনের ডাগআউটে থাকাকালীন।
৩১ ম্যাচ শেষে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ নম্বরে অবস্থান করছে সিটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে আছে আমোরিমের ইউনাইটেড।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসন সংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরো ১৮টি নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ল্যাবভিত্তিক বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ১৮টি বিভাগ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো—ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো— অপরাধবিদ্যা বিভাগ।
পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্রের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, একজন অতিথি অধ্যাপক, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন।
১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ে এগুলো সুপারিশ করেছি। অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাববেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, “অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।”
ঢাকা/এমদাদুল/রফিক