ম্যানচেস্টার সিটির সামনে সুযোগ ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ঢুকার। চেলসি ড্র করায় সিটিজেনদের সামনে এই সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। তবে রবিবার (৬ মার্চ) নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করল ম্যানসিটি। সেরা চারে ঢুকার সুযোগ হারিয়ে, সিটি বস পেপে গার্দিওলা, ইউনাইটেড সমর্থকদের শ্রেণহীন বলে অ্যাখায়িত করলেন। ডার্বি জিততে না পেরে,

সবশেষ ৫ বছর আগে ম্যানচেস্টার ডার্বি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। মহামারী কোভিড-১৯ চলাকালীন ২০২০ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই ম্যাচটা হয়েছিল। এরপর হয়ে গেছে আরো ১২ ম্যাচ, তবে গোলহীন ড্র হয়নি। এই সময়ের মাঝে ইউনাইটেড ৩ জন কোচ বদল করেছে।

ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেনের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। তাই গার্দিওলা ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় তাকে তুলে নেন জার্মেই ডকুর বদলি হিসেবে। ইউনাইটেড বিপক্ষে ধরা ‘চ্যান্টে’ (দর্শকদের সুরেলা স্লোগান) ফোডেনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল। রেড ডেভিল সমর্থকরা এই মিডফিল্ডারের মাকে উদ্দেশ্য করেও চ্যান্ট করেছে। অথচ দুই দলের স্কোয়াডে স্থানীয় দুই প্লেয়ারদের একজন ফোডেন।

আরো পড়ুন:

ডার্বির আগে আমোরিমের চোখ ইউনাইটেডের উন্নতিতে

ম্যানসিটি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ডি ব্রুইন

ম্যাচের প্রথমার্ধে সিটির আক্রমণ চলছিল স্ট্রেটফোর্ড এন্ডের দিকে। তখনই কিছু ইউনাইটেড সমর্থক ফোডেনের মা সম্পর্কে অশালীন চ্যান্ট ধরে। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বগার্দিওলা বলেন, ‘এটা শ্রেণির অভাব। ইউনাইটেড নয়, এটা  কিছু মানুষের আচরণ। খেলাধুলায়, আমরা কোচরা, মালিক সবসময়ই প্রকাশ্যে থাকি। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের মা সম্পর্কে এমন কটূক্তি! এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক, শ্রেণিহীন। যারা এটা করেছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।”

এই ড্রয়ের ফলে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম চলমান মৌসুমে গার্দিওলার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই অপরাজিত থাকলেন। যার মাঝে দুবার রেড ডেভিলদের কোচ হিসেবে। আরেকবার স্পোর্টিং লিসবনের ডাগআউটে থাকাকালীন।

৩১ ম্যাচ শেষে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ নম্বরে অবস্থান করছে সিটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে আছে আমোরিমের ইউনাইটেড।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
 
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।

সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
 
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’ 

সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও