নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 7th, April 2025 GMT
নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক প্রান্তজন-এর সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম সেলিমের ওপর হামলা চালিয়ে দুই হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির এক নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী এবং ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী আব্দুর রউফ ওহাব।
সাজেদুর রহমান সেলিম নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বরিবার রাত ৯টার দিকে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে মামলা করা হয়।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধার ও মেডিকেল সেবা অব্যাহত
নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, বরিবার বিকেলে কলেজ শিক্ষক সেলিমের ওপর হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। রাতে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তসহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেনা সদস্যরা সদর থানা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক ও নাটোর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার সম্পাদক সাজেদুর রহমান সেলিমের ওপর স্থানীয় বিএনপি কর্মী আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন হামলা চালায়। হামলায় তার দুই হাত ভেঙে যায়।
সাজেদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তরা তাকে শিক্ষকতার জন্য কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তার ওপর হামলা করা হয়।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংয়ে পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংয়ে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ছুটি দিয়ে দুইজনকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ছিল মেয়ে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ছেলেটিকে কৌশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে তার কোলের উপর বসিয়ে অশালীন আচরণ করেন। মাদ্রাসার পাশের ভবনের কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন।
আরো পড়ুন:
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু
পরে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিশুকে মাদ্রাসায় তার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাচন চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে মুখের ভিতরে কাপড় ঢুকিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালান। এরপর কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী তালা খুলে তাকে বাইরে বের করে আনে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়। এর আগেও শাহাদাৎ হোসেন কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/অলোক/বকুল