তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, সম্পূর্ণ টিউশন ফি–মাসিক উপবৃত্তি–আবাসন–স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা
Published: 8th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ থেকে যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান, তাঁদের জন্য একটি গন্তব্য হতে পারে তুরস্ক। শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার কারণে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্জন করছে জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও দেশটি উচ্চশিক্ষার অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে নানা সুযোগ-সুবিধা ও স্কলারশিপ। তেমনি একটি স্কলারশিপ কোক স্কলারশিপ। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে দেওয়া হয় এ বৃত্তি। এর কেতাবি নাম ‘কোক বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ-২০২৫’।
কোক বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৩ সালে ইস্তিনেতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করলেও, ২০০০ সালে স্থায় ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়।
আরও পড়ুনজাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা৩১ মার্চ ২০২৫স্নাতকোত্তরে সুযোগ-সুবিধা—*সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করবে
*মাসে মাসে উপবৃত্তি
*আবাসন সুবিধা
*বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা
*বৈজ্ঞানিক ইভেন্টে অংশ নিতে ভ্রমণ খরচ দেবে
পিএইচডিতে সুযোগ-সুবিধা—*সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ
*মাসে মাসে মিলবে উপবৃত্তি
*আবাসন সুবিধা
*বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা
*ফ্রি এইচজিএস (ফাস্ট ট্রানজিট পাস) সুবিধা মিলবে
*বৈজ্ঞানিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ভ্রমণ খরচ
*ল্যাপটপ সুবিধা
*ফ্রি এইচজিএস (ফাস্ট ট্রানজিট পাস) সুবিধা দেবে;
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা—*আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে
*একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে
*স্নাতকোত্তরে আবেদনে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে
*পিএইচডিতে আবেদনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে
*ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে
দরকারি কাগজপত্র—*পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি/ছবি
*পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (সিভি)
*একাডেমিক সব সার্টিফিকেট ও মার্কশিট
*ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষার সনদ (জিম্যাট/টোয়েফল)
*স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি)
*রেফারেন্স লেটার
*ক্ষেত্র–সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা প্রয়োজন
*তিনটি প্রবন্ধ থাকতে হবে
*নন-থিসিস প্রোগ্রামের জন্য আবেদন ফি প্রদানের স্লিপ
*পারিবারিক আয়ের প্রমাণপত্র
*অন্যান্য ডকুমেন্টেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে (নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয়তা দেখে নিতে হবে)
আরও পড়ুনপাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর-পিএইচডির সুযোগ১৭ মার্চ ২০২৫আবেদনের পদ্ধতি—আবেদনকারীকে ইউনিভার্সিটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরে প্রয়োজনীয় শর্তাবলি মেনে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ—১৫ মে ২০২৫
আবেদনের বিস্তারিত তথ্য ও আবেদনের পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ০৮ মার্চ ২০২৫
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব সরক র প এইচড ত রস ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।
বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।
এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।
রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।
তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫