ঢাবির ভর্তিতে ‘আরবি’ জটিলতা থাকছে না
Published: 8th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণের সময় ‘আরবি বিভাগ’ দিতে গিয়ে অনেকে জটিলতায় পড়েছিলেন। তবে এ শিক্ষার্থীরা শর্ত পূরণ সাপেক্ষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে বিষয় পছন্দক্রমে আরবি দিতে পারবেন।
এ জটিলতা নিরসনের বিষয়টি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যেসব শিক্ষার্থীর আরবি বিষয়ের জন্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভর্তিযোগ্য বিষয়ের মধ্যে আরবি বিষয়টি নেই, তাদের অনুগ্রহ করে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিষয় পছন্দক্রম প্রদানের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যারা ইতোমধ্যে আরবি ব্যতীত বিষয় পছন্দক্রম পূরণ করে ফেলেছেন, তাদের নতুন নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি
ফিলিস্তিনের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি: সালাউদ্দিন
অন্য এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর অনেক বেশি সংখ্যক বিষয়ে ভর্তির যোগ্যতা রয়েছে, তাদের অনেকের অনলাইনে বিষয়ের পছন্দক্রম প্রদানের সময় দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে সেশন টাইমড আউট হয়ে যাচ্ছে এবং পুনরায় প্রথম থেকে সব কাজ করতে হচ্ছে।
এ অবস্থা এড়াতে শিক্ষার্থীদের প্রথমে বাঁ দিকের মেনু থেকে ‘ভর্তিযোগ্য বিষয়সমূহ’ ক্লিক করে ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। প্রিন্ট করার পর তাতে পেনসিলে ক্রম আগে থেকে লিখে নিয়ে তারপর সে মোতাবেক বিষয়ের পছন্দক্রম অনলাইনে বাছাই করা হলে কম সময়ে তা করা যাবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।