একের পর এক ছক্কা মারার রহস্য জানালেন পুরান
Published: 9th, April 2025 GMT
চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নজর কাড়ছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান। সর্বশেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি। ম্যাচ শেষে নিজের সহজাত ছক্কা মারার কৌশল নিয়েও কথা বলেন এই ব্যাটার।
আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পুরান। দিল্লির বিপক্ষে ৩০ বলে ৭৫, সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২৬ বলে ৭০, আর পাঞ্জাবের বিপক্ষে করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে কিছুটা ব্যর্থ হলেও (৬ বলে ১২), কলকাতার মাঠে ইডেনে আবার ফিরলেন নিজস্ব ছন্দে। খেললেন ৩৬ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংসে ৭২ গড়ে করেছেন ২৮৮ রান। স্ট্রাইক রেট ২২৫। মেরেছেন ২৫টি চার ও ২৪টি ছক্কা—যা এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
পুরান বলেন, ‘এই প্রশ্নটা আমাকে বহুবার করা হয়েছে। আসলে কোনো রহস্য নেই। আমি প্রচুর অনুশীলন করি। মাঠে যা দেখি, তার সবই নেটেও করে থাকি। চেষ্টা করি বল বুঝে খেলার। এটুকুই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোলারদের লাইন ও লেংথ বুঝে খেলাটা জরুরি। ওদের পেসাররা ফুল লেংথ ও স্টাম্পের বাইরের বল করছিল। কখনও শর্ট বলও করেছে। স্পিনারদের বলগুলোও ব্যাটে ভালো আসছিল। উইকেট আমাদের সহায় ছিল, এই মাঠেই আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো খেলেছি।’
ম্যাচে মিচেল মার্শও ঝড় তোলেন ৪৮ বলে ৮১ রানে। পুরানের সঙ্গে তার ৭১ রানের দ্রুত জুটি দলকে এনে দেয় বিশাল স্কোর ৩ উইকেটে ২৩৮ রান।
মার্শকে নিয়ে পুরান বলেন, ‘মার্শ আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া হয়েছে। দলের সবাই নিজস্ব পারফরম্যান্স নয়, বরং দলকে সামনে রাখছে। ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল