চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নজর কাড়ছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান। সর্বশেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি। ম্যাচ শেষে নিজের সহজাত ছক্কা মারার কৌশল নিয়েও কথা বলেন এই ব্যাটার।  

আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পুরান। দিল্লির বিপক্ষে ৩০ বলে ৭৫, সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২৬ বলে ৭০, আর পাঞ্জাবের বিপক্ষে করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে কিছুটা ব্যর্থ হলেও (৬ বলে ১২), কলকাতার মাঠে ইডেনে আবার ফিরলেন নিজস্ব ছন্দে। খেললেন ৩৬ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংসে ৭২ গড়ে করেছেন ২৮৮ রান। স্ট্রাইক রেট ২২৫। মেরেছেন ২৫টি চার ও ২৪টি ছক্কা—যা এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।  

পুরান বলেন, ‘এই প্রশ্নটা আমাকে বহুবার করা হয়েছে। আসলে কোনো রহস্য নেই। আমি প্রচুর অনুশীলন করি। মাঠে যা দেখি, তার সবই নেটেও করে থাকি। চেষ্টা করি বল বুঝে খেলার। এটুকুই।’  

তিনি আরও বলেন, ‘বোলারদের লাইন ও লেংথ বুঝে খেলাটা জরুরি। ওদের পেসাররা ফুল লেংথ ও স্টাম্পের বাইরের বল করছিল। কখনও শর্ট বলও করেছে। স্পিনারদের বলগুলোও ব্যাটে ভালো আসছিল। উইকেট আমাদের সহায় ছিল, এই মাঠেই আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো খেলেছি।’  

ম্যাচে মিচেল মার্শও ঝড় তোলেন ৪৮ বলে ৮১ রানে। পুরানের সঙ্গে তার ৭১ রানের দ্রুত জুটি দলকে এনে দেয় বিশাল স্কোর ৩ উইকেটে ২৩৮ রান।  

মার্শকে নিয়ে পুরান বলেন, ‘মার্শ আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া হয়েছে। দলের সবাই নিজস্ব পারফরম্যান্স নয়, বরং দলকে সামনে রাখছে। ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ