জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় সাংবাদিক, নিহতের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান, সহসভাপতি সোনা মিয়া, নিহত রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম এবং মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত।

বক্তারা বলেন, প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ এলাকার মানুষজনকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন। তিনি এলাকায় ফেরার পর আবারও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

প্রধান আসামির মুক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ২১ মাস পার হলেও এখনো বিচার হয়নি। মামলার প্রতিটি আসামি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা। প্রধান আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হলেও তাকে কেন ছাড়া হচ্ছে?’

গত বছরের ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানি। পরদিন ১৫ জুন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার তিন দিন পর, ১৭ জুন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মাহমুদুল আলম আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি এলাকায় নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রব ব ন

এছাড়াও পড়ুন:

চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
  • রূপগঞ্জে মামুন হত্যা : মাহবুবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন
  • সাইক্লিস্ট হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন
  • ‘চট্টগ্রামে সাইক্লিস্ট ওসমানের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যা’
  •  সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
  • সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে
  • কাছারিবাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে, রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত  নিদর্শন নষ্ট হয়নি: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে