রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত সংস্থার আবেদনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলার ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক এসআই আমীর হোসেন, তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেরোবি প্রক্টর শরীফুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশকে গতকাল হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

গত ১৩ জানুয়ারি আবু সাঈদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর মীযানুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এগুলো তদন্তে আসবে। এই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে তিনি আসামি হবেন।’ মীযানুল ইসলাম আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হেলমেট বাহিনীও জড়িত। ২৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। 

সাবেক আইজিপিকে জিজ্ঞাবাসাদের অনুমতি

রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিয়ে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুরের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিনকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার সেফহোমে নিয়ে তাদের এক দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানির জন্য ৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ