ইনস্টাগ্রামে পরিচয়, ঘুরতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
Published: 10th, April 2025 GMT
ইনস্টাগ্রামে পরিচয়। পরে বন্ধুত্ব। গত ৪ এপ্রিল ঢাকায় ঘোরাঘুরি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রাইভেটকারে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান। এতে তরুণী কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে কৌশলে তেজগাঁওয়ের একটি হোটেলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এর ভিডিও করা হয়। সকালে তাঁকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকার তেজগাঁও থানা পুলিশ।
দুই আসামির নামে ঢাকার তেজগাঁও থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো– হাসিব চৌধুরী (২৭) ও আতিক হোসেন ভূঁইয়া (২৯)।
গতকাল বুধবার রাতে ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনে ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এই তরুণী ছাড়াও তাদের হেফাজত থেকে আরও একাধিক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। মূল আসামি হাসিব দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। রোববার বিমানবন্দর এলাকা থেকে আতিক এবং মঙ্গলবার চান্দগাঁও থেকে হাসিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।