বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পেরেছে জামায়াত, দাবি সংবাদ সম্মেলনে
Published: 10th, April 2025 GMT
বিনিয়োগ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই যে বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বের সেরা ২০ দেশের মধ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, এটি আমরা বিদেশিদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।’
ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গত সোমবার থেকে বিনিয়োগ সম্মেলন চলছে। সেখানে গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে স্টল রাখা হয়। ওই স্টল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
আজ বিকেলে বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কথা বলেন জামায়াত নেতা মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি দুর্নীতিমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস যে বিনিয়োগকারীরা এখানে আসবেন। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে পেরেছি এবং আমরা আশাবাদী যে বড় বড় ব্যবসার সেক্টর এ দেশে খোলা সম্ভব হবে।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলনে বড় বড় দেশের বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। গত দুই দিন তাঁরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তাঁরা এ দেশে বিনিয়োগ করবেন বলে অনেককে আশ্বস্ত করেছেন।
দেশের ব্যবসায়িক খাতে জামায়াতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের সফলতার কথা উল্লেখ করে মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো ব্যবসা করছে না। তবে জামায়াতে ইসলামীর যাঁরা বড় বড় ব্যবসা পরিচালনা করছেন, আমরা জানি কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। আমরা যে সেক্টরেই কাজ করেছি, সেখানেই সফলতা অর্জন করেছি।’
প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা বাড়ানোর আগ্রহ জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম র কর ছ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
খাবার চুরি, বিয়ে না করেই ফিরে যাচ্ছিলেন বর
বরপক্ষের ৩০ জন অতিথির খাবার স্বল্পতায় বিয়ে ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। এতে বিয়ে না করেই ফিরে যেতে চান বর। বিব্রত ও অসহায় হয়ে পড়েন কনে পক্ষ। পরে কমিউনিটি সেন্টারের এক কক্ষে পাওয়া যায় লুকিয়ে রাখা খাবার। এতে শেষ রক্ষা মেলে। হাফ ছেড়ে বাঁচেন কনে পক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে বরযাত্রীর খাবার চুরি করা নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
ওই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রেখেছিল কমিউনিটি সেন্টারের এক কর্মচারী। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চুরি হওয়া খাবার উদ্ধার হলে অবসান হয় ভুল বোঝাবুঝির। দুপক্ষের মুরুব্বিদের সমঝোতায় এর পর সম্পন্ন হয় বিয়ে।
জানা গেছে, দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের রেহান উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শাহ জালালের সাথে মুরাদনগর উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের শের আলীর মেয়ে জান্নাতের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে বর পক্ষের সঙ্গে প্রায় ১২০ জন অতিথি আসেন। বরযাত্রী ব্যাচের সবাই খাবার খেলেও শেষের দিকে ৩০ জন অতিথির খাবার সংকট দেখা দেয়। এ নিয়ে বরপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে বরযাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে না করেই চলে যেতে চান।
এদিকে খাবার স্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে কনে পক্ষের লোকজন ওই কমিউনিটি সেন্টারের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন বালতি ও বলে ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার ও তবারকের জন্য আনা খেজুর দেখতে পায়। বিষয়টি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলামকে সঙ্গে সঙ্গেই জানান।
বরযাত্রীর সঙ্গে আসা নাঈম বিন মুসা বলেন, বরযাত্রীর সঙ্গে আসা অতিথিরা প্রথম দিকে খাবার পেলেও শেষের দিকে এসে অন্তত ৩০ জন খাবার স্বল্পতা দেখা দেয়। এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কমিউনিটি সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে থেকে বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার উদ্ধার করা হয়।
বরের ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে যারা খাবার পরিবেশন করেছেন তারাই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে যখন খাবার পাওয়া যায় তখন দুই পক্ষ শান্ত হয়।
কনের বাবা শের আলী বলেন, আমরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের কাছে ২০০ জন অতিথির খাবার অর্ডার করি। কিন্তু তারা ১৭০ জনের খাবার দিয়ে বাকি ৩০ জনের খাবার চুরি করেন। খাবার চুরি করে তারা আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে মেজবান কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এই কাজে জড়িত তাদের সবাইকে সেন্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বয় ও আয়ারা করে থাকতে পারে। তবে আমরা দেখেনি। আমাদের কমিউনিটি সেন্টার কোন পরিত্যক্ত কক্ষ নাই।