বিনিয়োগ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই যে বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বের সেরা ২০ দেশের মধ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, এটি আমরা বিদেশিদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।’

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গত সোমবার থেকে বিনিয়োগ সম্মেলন চলছে। সেখানে গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে স্টল রাখা হয়। ওই স্টল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়।

আজ বিকেলে বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কথা বলেন জামায়াত নেতা মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি দুর্নীতিমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস যে বিনিয়োগকারীরা এখানে আসবেন। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে পেরেছি এবং আমরা আশাবাদী যে বড় বড় ব্যবসার সেক্টর এ দেশে খোলা সম্ভব হবে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলনে বড় বড় দেশের বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। গত দুই দিন তাঁরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তাঁরা এ দেশে বিনিয়োগ করবেন বলে অনেককে আশ্বস্ত করেছেন।

দেশের ব্যবসায়িক খাতে জামায়াতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের সফলতার কথা উল্লেখ করে মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো ব্যবসা করছে না। তবে জামায়াতে ইসলামীর যাঁরা বড় বড় ব্যবসা পরিচালনা করছেন, আমরা জানি কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। আমরা যে সেক্টরেই কাজ করেছি, সেখানেই সফলতা অর্জন করেছি।’

প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা বাড়ানোর আগ্রহ জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম র কর ছ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য