মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে কক্সবাজারের রামু থেকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়াস্থ আবদুল গনি মাঝির বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নুরুল আবছার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দনপুরা গ্রামের মৃত কাজী মো.

জাবেদের ছেলে। এলাকাবাসীর দাবি, তিনি দীর্ঘ দিন রামুর ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাব্বির হোসেন বাদশাহ জানান, আত্মগোপনের খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ওই বাড়িটি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, নুরুল আবছার এখন রামু থানায় রয়েছেন। রাঙ্গুনিয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ