আজ ঢাকায় গাইবেন ‘কালাবাজ দিল’ গায়িকা আইমা বেগ
Published: 11th, April 2025 GMT
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে গান শোনাবেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আইমা বেগ। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে ‘রুল দ্য ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামের কনসার্টে গাইবেন তিনি। এর আয়োজন করেছে ইয়ামাহা মিউজিক বাংলাদেশ। প্রথমে এই কনসার্ট সেনা প্রাঙ্গণে বড় আয়োজনে করার কথা থাকলেও পরে ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নিতে পারবেন এ আয়োজনে।
‘ওয়ান ট্রু সাউন্ড’–এর ব্যানারে দেশের শিল্পীদের নিয়ে নিয়মিত কনসার্টের আয়োজন করে ইয়ামাহা মিউজিক বাংলাদেশ। এবার প্রথমবার এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তানের শিল্পী আইমা বেগ। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে এ আয়োজন।
২০১৬ সালে পাকিস্তানি সিনেমা ‘লাহোর সে আগে’তে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ পান আইমা। প্রথম সিনেমায় তিনটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। ‘কালাবাজ দিল’ গানের জন্য লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ড এবং গ্যালাক্সি ললিউড অ্যাওয়ার্ডে সেরা গায়িকার পুরস্কার পান এ গায়িকা। এ ছাড়া ‘সাত দিন মোহাব্বত ইন’, ‘দ্য ডাংকি কিং’, ‘কাফ কাঙ্গানা’, ‘বাজি’ ইত্যাদি সিনেমায় গান গেয়ে আলোচনায় আসেন আইমা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল