১৭ বছর পর ফতুল্লার ডিআইটি মাঠে বিএনপির সমাবেশ
Published: 11th, April 2025 GMT
আগামীকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে সমাবেশ করবে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘ ১৭ বছর ঐতিহাসিক এই মাঠে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি বিএনপিকে।
প্রায় দেড় দশক সময় পর এই মাঠে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী জনসভায় ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের জনসভায় এসেছিলেন। সেটাই ছিলো ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে বিএনপির যে কোন পর্যায়ের সমাবেশ।
আগামীকাল শনিবার বিকেল তিনটায় ফতুল্লা থানার ডিআইটি মাঠে সমাবেশ করবে ফতুল্লা থানা বিএনপি। সমাবেশকে ঘিরে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফতুল্লা থানার পাঁচ ইউনিয়নে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে, উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সঞ্চালনায় থাকবেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র ড আইট
এছাড়াও পড়ুন:
অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”
রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এস