মাগুরায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
Published: 11th, April 2025 GMT
মাগুরার শালিখায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শালিখা উপজেলার ছান্দড়া বাজারে হামলার এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই শিক্ষক মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলায় আহত ওই শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান। তিনি শালিখা উপজেলার ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ওই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মোল্লার ছেলে।
ওই শিক্ষক অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজার করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ছান্দড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ও ইনছান নামে নামের ২ যুবক তার পথরোধ করে। এ সময় তারা ওই শিক্ষককে বলেন, লেখাপড়া সেখানোর জন্য মেয়ের পেছনে এত টাকা খরচ করালাম। কিন্তু সে মেট্রিক-এ ফেল করলো। শিক্ষকরা তোরা কি করিস। এই কথা বলে জাহাঙ্গীর ও ইনছান আমার উপর হামলা হামলা চালায়। এ সময় দুইজনই তাকে বেদম লাঠিপেটা করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। পরে আমি আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে পাশে বোনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর ও ইনছান দুইজনই এলাকার অপরাধী। তাদের নামে শালিখা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ইনছান কিছু দিন আগে আস্ত্র মামলায় ৭ বছর জেল খেটে বাড়িতে এসেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু কি কারণে আমার ওপর হামলা হয়েছে তা আমি ঠিক বলতে পারছি না। আমি হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
মাগুরা শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।