ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল। গাজার ওপর এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে নেমেছে বিশ্বের আপামর জনতা; ঘৃণা ও নিন্দা জানানো হচ্ছে বাংলাদেশ থেকেও। এবার গানে গানে ইসরায়েলের সেই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মেধাবী সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব। তাঁর সঙ্গে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীরা—ইমরান, কনা, মাহাবি, নিবিড়, তুষার, নাঈম এবং জাহিদ নিরব নিজেও।

‘আকাশে উড়ছে মৃত লাশ’ শিরোনামের এই গানটির সুর ও সংগীত করেছেন সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব। গানটির ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে জাহিদ নিরবের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

এ প্রসঙ্গে জাহিদ নিরব বলেন, প্রতিবাদের তিনটি ভাষা আছে—একটি হলো নীরবতা, দ্বিতীয়টি হলো শব্দ, আর তৃতীয়টি হলো রক্ত। আমরা শব্দকেই বেছে নিয়েছি। গানে গানে প্রতিবাদ করেছি। এটা কেবল একটা গান নয়, এটা এক ধরনের আর্তনাদ, এক চিৎকার—নিষ্পাপ শিশুদের, মায়েদের, আর হাজারো নিঃস্ব মানুষের হয়ে।যখন গাজায় প্রতিদিন লাশ পড়ে, তখন আমাদেরও কিছু বলা উচিত। আমরা যুদ্ধ চাই না, চাই না মৃত্যু। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে গলা তো তুলতেই হবে। এই গান সেই সাহসিকতার ছোট্ট প্রকাশ।

জাহিদ নিরব আরও বলেন, এই গানের পেছনে যাঁরা ছিলেন—আমার সহশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, কলাকুশলী, টেকনিক্যাল টিম—সবার প্রতি আমার হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতা। তোমাদের প্রতিটি অবদান এই প্রতিবাদের সুরকে সত্যি করে তুলেছে। এই গান আমাদের সবার। আমরা এটিকে কপিরাইট মুক্ত রেখেছি—যাতে যে কেউ এটি শেয়ার করতে পারে, আপলোড করতে পারে, এবং ছড়িয়ে দিতে পারে আরও অনেক দূর। প্রতিবাদের এই ভাষা থেমে না যাক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ হ দ ন রব এই গ ন

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ