ফিলিস্তিনিদের জন্য ইমরান-কনাদের প্রতিবাদী গান
Published: 12th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল। গাজার ওপর এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে নেমেছে বিশ্বের আপামর জনতা; ঘৃণা ও নিন্দা জানানো হচ্ছে বাংলাদেশ থেকেও। এবার গানে গানে ইসরায়েলের সেই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মেধাবী সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব। তাঁর সঙ্গে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীরা—ইমরান, কনা, মাহাবি, নিবিড়, তুষার, নাঈম এবং জাহিদ নিরব নিজেও।
‘আকাশে উড়ছে মৃত লাশ’ শিরোনামের এই গানটির সুর ও সংগীত করেছেন সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব। গানটির ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে জাহিদ নিরবের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এ প্রসঙ্গে জাহিদ নিরব বলেন, প্রতিবাদের তিনটি ভাষা আছে—একটি হলো নীরবতা, দ্বিতীয়টি হলো শব্দ, আর তৃতীয়টি হলো রক্ত। আমরা শব্দকেই বেছে নিয়েছি। গানে গানে প্রতিবাদ করেছি। এটা কেবল একটা গান নয়, এটা এক ধরনের আর্তনাদ, এক চিৎকার—নিষ্পাপ শিশুদের, মায়েদের, আর হাজারো নিঃস্ব মানুষের হয়ে।যখন গাজায় প্রতিদিন লাশ পড়ে, তখন আমাদেরও কিছু বলা উচিত। আমরা যুদ্ধ চাই না, চাই না মৃত্যু। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে গলা তো তুলতেই হবে। এই গান সেই সাহসিকতার ছোট্ট প্রকাশ।
জাহিদ নিরব আরও বলেন, এই গানের পেছনে যাঁরা ছিলেন—আমার সহশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, কলাকুশলী, টেকনিক্যাল টিম—সবার প্রতি আমার হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতা। তোমাদের প্রতিটি অবদান এই প্রতিবাদের সুরকে সত্যি করে তুলেছে। এই গান আমাদের সবার। আমরা এটিকে কপিরাইট মুক্ত রেখেছি—যাতে যে কেউ এটি শেয়ার করতে পারে, আপলোড করতে পারে, এবং ছড়িয়ে দিতে পারে আরও অনেক দূর। প্রতিবাদের এই ভাষা থেমে না যাক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ দ ন রব এই গ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক।
আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা–বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।
কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।
ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।
পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন। তাঁকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’