গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ১৩ ঘণ্টার পর চলাচল স্বাভাবিক
Published: 14th, April 2025 GMT
গাজীপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত শেষে গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ শুরু হলো।
এর আগে গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে গাজীপুরের সালনা এলাকায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত্য হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় যাচ্ছিল। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে গাজীপুর ও মৌচাকের মাঝামাঝি সালনা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে শিকল টেনে ট্রেনটির গতিরোধ করা হয়। তবে এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। এরপর রিলিফ ট্রেন (উদ্ধারকারী ট্রেন) আসে। প্রকৌশলীরা একটানা কাজ করে প্রায় দেড় কিলোমিটার রেললাইন মেরামত করেন। ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে নেওয়া হয়। রেললাইন মেরামতের পর রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ ওই সড়কে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুনগাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ১৮ ঘণ্টা আগেজয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, ট্রেনের বগি লাইচ্যুত হওয়ায় যমুনা সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেললাইন মেরামত করে লাইন সচল করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়