কক্সবাজারে রয়েছেন লাখো পর্যটক। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবার সমুদ্রসৈকতেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। সকালে সৈকতের সিগাল পয়েন্ট থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শেষ হয়েছে লাবনী পয়েন্টে। সেখানে নির্মাণ করা মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকাল আটটার দিকে শুরু হয় শোভাযাত্রাটি। এতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁমালিক-কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বাদ্যের তালে তালে নেচেগেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন তাঁরা। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

লাবনী পয়েন্টে স্থাপন করা মঞ্চের পাশে রঙিন কাপড়ে সাজানো হয় কয়েকটি ঘোড়া। পর্যটকেরা সেসব ঘোড়ার পিঠে চড়ে সৈকত ঘুরে বেড়ান। ছিল পান্তাভাতের সঙ্গে রুপালি ইলিশ এবং আলু ও শুঁটকিভর্তা খাওয়ার সুযোগ। পৃথক একটি স্টলে জেলা কারাগারের বন্দীদের হাতে তৈরি রকমারি পণ্য বিক্রি করা হয়। তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে নারী-পুরুষ-শিশুরা মেতে ওঠেন উৎসবে।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বৈশাখ উপলক্ষে সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে এসেছেন লাখো পর্যটক। তাঁদের কথা চিন্তা করে এবার বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজনটি সৈকতে করা হয়েছে। ভ্রমণে আসা পর্যটকদের আমরা উৎসবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বেশ সাড়াও মিলেছে।’

কক্সবাজার শহরের পাবলিক হল ময়দানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পিঠাপুলি বিক্রির একটি স্টল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 

মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।

আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়। 

আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।

কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।

দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।

এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • সীতাকুণ্ডে ঝরনায় ২ বছরে ৮ পর্যটকের মৃত্যু, নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • বরিশাল: পর্যটনশিল্পের নতুন সম্ভাবনা
  • বান্দরবানে পর্যটক নিখোঁজের ঘটনায় পর্যটন সংস্থার প্রধান গ্রেপ্তার
  • কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ