ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে। আজ সোমবার ডেনিশ ক্যানসার সোসাইটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমনকি ২০৪০ সালের আগেও কম নারীরা যাতে এই রোগে আক্রান্ত হন, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে; যাতে ২০৪০ সালের আগেও রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে মনে হয়। তাহলে এটিই হবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্যানসার নির্মূলের ঘটনা।

ডেনিশ মেডিকেল জার্নাল ইউজেসক্রিফ ফর লেগারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ডেনমার্কে প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ১০ জনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি এক লাখের মধ্যে চারজনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হলে সেটি নির্মূল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়। ডেনমার্কে ১২ বছর বয়সী ৮৯ শতাংশ ছেলে-মেয়েকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

২০০৮-০৯ সালের দিকে কিশোরীদের জন্য বিনা মূল্যে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। আর ছেলেদের জন্য চালু হয় ২০১৯ সালে।

ডেনমার্কে ৬০ শতাংশ নারী বিনা মূল্যে এইচপিভি ভাইরাসের পরীক্ষা করান; যা নির্ধারিত লক্ষ্য ৭০ শতাংশ থেকে কিছুটা কম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এইচপ ভ

এছাড়াও পড়ুন:

হান্নান এবার বিসিবির কোচিংয়ে

কোচিং ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক হান্নান সরকার বিসিবির চাকরি ছেড়েছিলেন। এরপর আবাহনী লিমিটেডে যোগ দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। তাঁর কোচিং, খেলোয়াড় ম্যানেজমেন্ট এবং পরিকল্পনায় মুগ্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। পরের ঢাকা লিগের জন্য এরই মধ্যে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে নিজের ক্যারিয়ারকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে আবার বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি।

চলতি মাসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন হান্নান। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই খবর। এসি রুমের আরামের জীবন ছেড়ে মাঠের ক্রিকেটে কাজ করে বেশি অবদান রাখার ইচ্ছা থেকে নির্বাচকের পদ ছেড়েছিলেন হান্নান। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড তাঁকে তাঁর পছন্দের জায়গাতেই ফিরিয়েছে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের আওতায় কাজ করবেন যুবা ক্রিকেটারদের নিয়ে।

ভিডিওবার্তায় হান্নান বলেছেন, ‘‘নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সরে আসার কারণ যা ছিল, কোচিংয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া, কোচিং দিয়ে দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখা। সেই চিন্তা থেকে কোচিংয়ে এসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ করলাম। আবাহনীর হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’’

আরো পড়ুন:

এইচপি স্কোয়াডে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে সানদিদ

ছন্দে ফিরে ইবাদতের মুখে হাসি, উদযাপনে স‌্যালুট

‘‘তারপরই ক্রিকেট বোর্ডে যোগদানের ব্যাপারে বলছিলাম। সেটা এইচপি বা অন্য কোথাও হতে পারে। এইচপিতে হয়নি, কারণ অন্য কোচরা ওখানে কাজ করছেন। তাই ক্রিকেট বোর্ড আমাকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। আমিও চাচ্ছিলাম, যে কোনো একটা জায়গায় কাজ করে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদান রাখব।’’

বিকেএসপিতে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের চ্যালেঞ্জার সিরিজ। তিন দলের এই প্রতিযোগিতা থেকে গঠন করা হবে অনূর্ধ্ব-১৭ দল। তাদেরকেই এগিয়ে নেওয়ার কাজ করবেন হান্নান, ‘‘আপাতত অনূর্ধ্ব-১৭ দিয়ে শুরু করছি। সামনে আরও কিছুর পরিকল্পনা আছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দিয়ে যে যাত্রা শুরু করছি, ইনশাআল্লাহ সামনে এক সময় এটি আরও বড় স্বপ্ন পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।’’

৪২ পেরোনো হান্নানের স্বপ্ন জাতীয় দলকেও কোচিং করানো। বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্ব নিয়ে আরও একবার নিজের স্বপ্নের কথা বলেছেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হান্নান এবার বিসিবির কোচিংয়ে