অনলাইনে সাদা বাঘ, পুমা ও ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো সংরক্ষিত ও বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী বিক্রি করছিলেন সন্দেহে স্পেনে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগে সিভিল গার্ড পুলিশ স্পেনের মায়োর্কা দ্বীপে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায়। কারণ, তাঁরা সেখানে বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী পুষতেন এবং এগুলোর প্রজনন ঘটাতেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করতেন। ওই অভিযান ছিল একটি বড় অভিযানের অংশ, যা গত মার্চে শুরু হয়েছে।

অভিযানে মোট ১৯টি বিড়ালজাতীয় প্রাণী ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ১টি ক্যারাকাল, ২টি সার্ভাল ও ১৬টি শংকর বিড়াল।

সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা।

সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।

সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ‘বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।’

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ধরনের প্রাণী কেনার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলো বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা হতো। এরপর ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হতো।

ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের (আইএফএডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপ বিরল প্রাণীর বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসব প্রাণীর অবৈধ কালোবাজার দিন দিন বাড়ছে।

ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হায়েনা, মরুভূমির লিংক্স ও পুমার মতো অন্যান্য প্রাণীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ক্লাউডেড লেপার্ড মূলত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনলাইনে এটি ৬৮ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা