বিরল জাতের বিড়ালজাতীয় প্রাণী অনলাইনে বিক্রির সন্দেহে স্পেনে দম্পতি গ্রেপ্তার
Published: 15th, April 2025 GMT
অনলাইনে সাদা বাঘ, পুমা ও ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো সংরক্ষিত ও বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী বিক্রি করছিলেন সন্দেহে স্পেনে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে সিভিল গার্ড পুলিশ স্পেনের মায়োর্কা দ্বীপে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায়। কারণ, তাঁরা সেখানে বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী পুষতেন এবং এগুলোর প্রজনন ঘটাতেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করতেন। ওই অভিযান ছিল একটি বড় অভিযানের অংশ, যা গত মার্চে শুরু হয়েছে।
অভিযানে মোট ১৯টি বিড়ালজাতীয় প্রাণী ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ১টি ক্যারাকাল, ২টি সার্ভাল ও ১৬টি শংকর বিড়াল।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ‘বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।’
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ধরনের প্রাণী কেনার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলো বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা হতো। এরপর ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের (আইএফএডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপ বিরল প্রাণীর বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসব প্রাণীর অবৈধ কালোবাজার দিন দিন বাড়ছে।
ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হায়েনা, মরুভূমির লিংক্স ও পুমার মতো অন্যান্য প্রাণীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্লাউডেড লেপার্ড মূলত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনলাইনে এটি ৬৮ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।