ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবি শিক্ষক সুজন চৌধুরী সাময়িক বহিষ্কার
Published: 16th, April 2025 GMT
ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব সাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ভুক্তভোগী নারীকে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর তার নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দেন। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড.
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেছেন, থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং আদালতের শরণাপন্ন হতে বলে। পরে তিনি চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন তালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমন কি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী। অভিযোগ মিথ্যা।’
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতার কারণে মুখ খোলেনি কোনো ভুক্তভোগী। গত জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতার অভিযোগে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র স জন চ ধ র ক র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।