লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসিবুল ইসলাম (২২) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ তরুণকে বিএসএফ সদস্যরা ভারতে ধরে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার মধ্য সিংগীমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসিবুল ওই ইউনিয়নের সিংগীমারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

আহত তরুণের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মধ্য সিংগীমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলার এলাকা হয়ে ভারতের সীমান্ত লাগোয়া জমিতে হাসিবুল ইসলামসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ঘাস কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের ফুলবাড়ী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে হাসিবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে আহত অবস্থায় ধরে নিয়ে যান।

বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশিকে গুলি করার ঘটনায় বিজিবির আহ্বানে বিকেল পাঁচটায় ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠকে অংশ নেয় বিএসএফ। বৈঠকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশিকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। তবে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

সিংগীমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। যত দূর শুনেছেন, বিএসএফের গুলিতে আহত হাসিবুলকে ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে বিএসএফ।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন-নবী সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশিকে ভারতের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি