গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি সিসা তৈরির অবৈধ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়।
শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিনাশকারী গেলি ইন্ডাস্ট্রিজ নামের কারখানাটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সিলগালা করা হয়। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শ্রীপুরের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব আহমেদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গেলি ইন্ডাস্ট্রি নামের কারখানায় পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হচ্ছিল। এতে ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ এই জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ নানান সমস্যার সৃষ্টি করছিল। হুমকির মুখে পড়েছিল আশপাশের পরিবেশ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর কার্যালয়ের পরিদর্শক নূরুল আমীন বলেন, কারখানাটিকে অনেক আগে অবস্থানগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। পরে পারিপার্শ্বিক অবস্থান বিবেচনা করে তা বাতিল করা হয়। ছাড়পত্র ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে কারখানাটি চালানো হচ্ছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু