শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ দুই উপদেষ্টার
Published: 18th, April 2025 GMT
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ সরকারি সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র ও সমন্বিত শিশু সদন শিশু এবং কিশোরদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই উপদেষ্টা সেখানে অবস্থান করেন। এর আগে প্রথমে সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পরে সমন্বিত শিশু সদন শিশু ও কিশোরদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তারা।
উপদেষ্টারা শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখে মুগ্ধ হন। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দুই উপদেষ্টা দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। পরে তারা সমন্বিত শিশু সদন শিশু ও কিশোরদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
এসময় দুই উপদেষ্টা শিশু ও কিশোরদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এসময় ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে চিকিৎসক দিয়ে সব হেফাজতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ও হেফাজত কেন্দ্রের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা সাথে যুগ্ম সচিব সমাজ সেবা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ফরিদুল আলম, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কাশেম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান, হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আজিজ, মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার, সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক ই আজম দ ই উপদ ষ ট সমন ব ত শ শ কর মকর ত ল ইসল ম উপজ ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস