আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে, কিসের ইঙ্গিত
Published: 18th, April 2025 GMT
এক হাজারের বেশি ইহুদি পুর্ণ্যার্থীকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। একই সময়ে একেকটি দলে ১৮০ জন ইহুদি পবিত্র স্থানটিতে ঢুকতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মসজিদে প্রবেশে এটি সংখ্যার দিক থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় মসজিদ চত্বরে ইহুদিদের ঢুকতে দেখা যায়। ইহুদিদের কাছে এই স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসরায়েল একসঙ্গে ৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি ইহুদিকে ঢুকতে না দেওয়ার পুরোনো নীতি থেকে থেকে সরে এসেছে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল এ স্থান দখল করে নেয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে দখলকৃত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত।
আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে ইসলামিক ওয়াক্ফ। সংস্থাটি জানায়, গত বুধবার ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ইহুদি মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করেন। গত সপ্তাহের সাপ্তাহিক ছুটি থেকেই ইহুদিদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘পাসওভারের’ ছুটি শুরু হয়। পাসওভারের ছুটি শুরুর পর চার হাজারের বেশি ইহুদি নিয়ম লঙ্ঘন করে এ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন।
উগ্রপন্থী বিভিন্ন ইহুদি গোষ্ঠী প্রায়ই তাদের সমর্থকদের নিয়ে পবিত্র আল-আকসার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল প রব শ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক