মগবাজারে রেললাইনে আটকে গেল বাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
Published: 19th, April 2025 GMT
ঢাকার মগবাজারে ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে রেললাইনে আটকে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। ট্রেন আসার ঠিক আগ মুহূর্তে বাসটি সরানো সম্ভব হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। অল্পের জন্য রক্ষা পান অর্ধশতাধিক যাত্রী।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মগবাজারের এফডিসি-হাতিরঝিল ক্রসিং থেকে আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের একটি বাস মগবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় বাসটি রেললাইনে উঠতেই হঠাৎ আটকে যায়। চালক কিছু সময় চেষ্টা করেও সেটি সামনে বা পেছনের দিকে নিতে পারছিলেন না। একই সময় ঢাকা স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি ব্রডগেজ ট্রেন আসার সাইরেনও শোনা যায়। অন্যদিকে রেললাইনের ওপর বাসটি আটকে যাওয়ায় গেটকিপার ব্যারিয়ারও ফেলতে পারছিলেন না। ওই সময় গেটকিপারকে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে সবাইকে সর্তক করার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন সাইরেন বাজাতে বাজাতে ছুটে আসছে। বাসচালক চেষ্টা করছেন বাসটি সরাতে। যাত্রীরা প্রাণভয়ে বাসের জানালা দিয়ে নামতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রেন আসার ঠিক আগ মুহূর্তে কোনোরকমে বাসটি পেছনের দিকে নিতে সক্ষম হন চালক। এর ঠিক কয়েক সেকেন্ড পরেই রেলগেট পার হয়ে দ্রুত ছুটে যায় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনটি। আশপাশের মানুষ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন।
রিফাত নূর নামে একজন লিখেছেন, “মানুষের এতো বড় বিপদেও সাহায্য না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।”
কেউ কেউ বাসচালককেও দোষারোপ করছেন। আবার অনেকে গেটকিপারকে দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এই দলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও ছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসেবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণায় করা হলো।
আরও পড়ুন১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ ৬ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছি। ওই সময়সীমার মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত জটিল আলোচনা আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। তা না হলে আমরা এ সিদ্ধান্তটি পেতাম না; এবং গত এপ্রিলে ধার্য করা ৩৫ শতাংশ শুল্কের গুরুভার আমাদের বহন করে যেতে হতো।’
আরও পড়ুনরপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব: বাণিজ্য উপদেষ্টা৪ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন, যা আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান অথবা যত্সামান্য বেশি; এবং ভারতের থেকে ৫ শতাংশ কম। সুতরাং আমেরিকার বাজারে আমাদের রপ্তানি পণ্য প্রতিযোগিতামূলক থাকবে। তৈরি পোশাকশিল্প ও এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত স্বস্তিকর ঘটনা।’
আরও পড়ুনএটা আমাদের পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য সুসংবাদ: খলিলুর রহমান২ ঘণ্টা আগে