সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আকতার হোসেন (৩৫) নামে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সৌদি আরবের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মেহের আলী মুন্সিপাড়া এলাকার মুহাম্মদ শফির ছেলে। তিনি দুই ছেলেসন্তানের জনক। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি স্বজনদের বরাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.

এহছান নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি সদস্য মো. এহছান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আকতার সৌদি আরবে প্রসাধনসামগ্রীর ব্যবসা করতেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা আজ শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছেন। তাঁর লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, নিহত আকতার এর আগে আট বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন। চার বছর আগে সৌদি আরবে যান। সর্বশেষ গত বছর দেশে এসেছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ