লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে আজিনুর রহমান (২৪) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে বাউরা ইউনিয়নের জমগ্রাম (ডাঙ্গাটারী) সীমান্তের মেইন পিলার ৮০১-এর সাবপিলার ১০-১১–এর পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আটক আজিনুর রহমান একই গ্রামের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশাদুল হক।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ৮০১ নম্বর প্রধান পিলার ও ১০ থেকে ১১ নম্বর উপপিলার লাগোয়া এলাকার অংশের ভুট্টাখেত পেরিয়ে আজিনুর ভারতের ভেতরে চলে যান। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার ৩০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সরস্বতী ক্যাম্পের টহল দল তাঁকে চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে বিএসএফ ক্যাম্পে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর ডাঙ্গাটারী বিজিবি ক্যাম্প থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, আজ শনিবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আলদীন বলেন, আজিনুর অবৈধভাবে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে ফেরার সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে বিএসএফের হাতে তুলে দেন। বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণ আছে। বর্তমানে আজিনুর ও গরুটি বিএসএফের বিআরবি কোম্পানি সদর ক্যাম্পে আছে। তাঁকে যেন কোনো ধরনের নির্যাতন করা না হয়, এ বিষয়ে বিএসএফকে অনুরোধ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ আজ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক