জামিনে এসেই মামলা তুলে নিতে হুমকি ইউপি সদস্যের
Published: 19th, April 2025 GMT
জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই হামলা ও মারধরের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তোজাম্মেল হক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোল্লা ফিরোজ (২৩) রাজশাহী আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা করেছেন। গত ৭ এপ্রিল গোদাগাড়ী থানার আমলী আদালতে মামলাটি করেন তিনি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী ফিরোজ গোদাগাড়ীর উজানপাড়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
টিপকাণ্ড: লতা সমাদ্দার, সুবর্ণা মোস্তফাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উজানপাড়া গ্রামের মো.
ফিরোজের আইনজীবী জালাল উদ্দীন জানান, আদালত আসামিদের রবিবার (২০ এপ্রিল) স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিদের সঙ্গে মোল্লা ফিরোজের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জেরে গত ২ এপ্রিল দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফিরোজকে তার বাড়ির সামনে পেয়ে আসামিরা ঘিরে ধরেন এবং তাকে বকাবকি করতে থাকেন। এতে বাধা দিলে ফিরোজকে মারধর করা হয়। তার চিৎকারে মামা নাসির উদ্দীন (৪৫) ছুটে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ফিরোজ ইউপি সদস্যসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
ফিরোজ জানান, মামলার পর ৬ এপ্রিল আসামিরা জামিনে মুক্ত হন। জামিনে বেরিয়েই তারা বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে শুরু করেন। মামলা না তুললে মাঠের ফসল নষ্ট ও পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে তিনি আদালতে আবারো মামলা করেন। তারপরও হুমকি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক বলেন, “দুই পক্ষই আমার আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। ইউপি সদস্য হিসেবে আমি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। সে কারণে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জামিন পেলেও আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমরা সমন পেয়েছি, রবিবার আদালতে গিয়ে সব বলব।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক