মনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হাসিবুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে তিনি হাতীবান্ধার মধ্য সিঙ্গিমারী গ্রামে হাসিবুলের বাড়িতে যান। এ সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে তিনি হাসিবুলের স্বজনদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলালের সাব ৬ এস পিলার–লাগোয়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আহত হন হাসিবুল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান। বুধবার রাতে ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি ও পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে বিএসএফ। হাসিবুল সিঙ্গিমারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

নিহত হাসিবুলের পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্য, ভারতের সীমান্ত–লাগোয়া জমিতে হাসিবুলসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। তখন বিএসএফের ফুলবাড়ী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসিবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বিএসএফ আহত অবস্থায় তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।

আজ হাসিবুলের বাড়িতে গিয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই, এটার বিচার চাই। ভারত বলে, তারা আমাদের বন্ধু দেশ। ফেলানীর বিচার এখনো পেলাম না। অসংখ্য সীমান্ত হত্যার বিচার পাইনি। ভারতের কাছে আহ্বান জানাব, অন্তত এই বিচারটা করে প্রমাণ করেন, আপনারা আমাদের বন্ধু। বন্ধুত্বের জন্য ভালোবাসা বিনিময় করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড হয়েছে এ দেশের মাটিতে আর লাশ নিয়ে গেছে ভারতে, এর বিচার হতে হবে বাংলাদেশে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য উদ্যোগ নিন। ভারতকে বলেন, সৎ ইচ্ছা নিয়ে সহযোগিতা করুন।’ এ সময় ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যত এগিয়ে আসবেন, আমরাও তত আপনাদের দিকে এগিয়ে যাব। এই জাতি বন্ধুত্বের মর্যাদা দিতে জানে। আমরা প্রমাণ করব, আমরা মর্যাদা দিতে জানি।’ নিহতের পরিবারকে এ ব্যাপারে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’

আরও পড়ুনহাতীবান্ধা সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ১৮ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি