নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাহিদুলের জানাজা, ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জাহিদুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদলের দাবি জাহিদুল ইসলাম তাদের সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।
জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২২ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে। এ হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহিদুলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপর তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে ঢাকা মহানগরের চারটি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কে মিছিলও করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে জাহিদুলের মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। জানাজা শেষে মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নেওয়া হয়।
ছাত্রদলের ভাষ্য, জাহিদুল ইসলাম তাদের সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন।
তবে ছাত্রদলের এ অভিযোগকে ‘ঘৃণ্য মিথ্যাচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের ফেসবুক পেজে এ অভিযোগের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘এক মৃত ব্যক্তির লাশকে ব্যবহার করে ছাত্রদল যে নোংরামি করছে, তা নতুন বাংলাদেশ ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কাম্য নয়।’
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম ছ ত রদল র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বকশিশের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা: সহকর্মীর যাবজ্জীবন
বকশিশের ১০০ টাকা না পেয়ে কাজী মারুফ নামে এক তরুণকে হত্যার ঘটনায় তার সহকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন গোলাম রাব্বী (২২)। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ মে সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এসকে ফিলিং স্টেশনে বকশিশের ১০০ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাম রাব্বী নামের এক তরুণ তার সহকর্মী কাজী মারুফে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের মা মিনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাব্বীকে একমাত্র আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।