ওজন কমাতে ‘ডাবল কার্বিং’ এড়িয়ে যাওয়া কেন জরুরি
Published: 22nd, April 2025 GMT
ওজন কমানোর জন্য সব প্রচেষ্টা থাকার পরেও শুধুমাত্র একটি ভুলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ‘ডাবল কার্বিং’। ফিটনেস প্রশিক্ষক ‘ইম্যানুয়েল ডিকারসন জুনিয়র’ এই বিষয়ে একটি ভিডিও তার ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তিনি একই সঙ্গে দুই রকম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আরও বলছেন, প্রত্যেকবার খাওয়ার সময় কেবল একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান। ধরুন বার্গার খাচ্ছেন, তবে তার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাবেন না। কারণ বার্গারের পাউরুটিতে কার্ব আছে আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজেও থাকছে। এর বদলে বার্গারের সঙ্গে হালকা করে প্যানে ভেজে নেওয়া সবজি খেতে পারেন। কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেলে পাউরুটি দুটি বাদ দিতে পারেন।
অনেকেই ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা বা আলুর তরকারি খেয়ে থাকেন। আবার বিরিয়ানি থেকে ঝালমুড়ি— সবকিছুতেই দুইরকমের কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান। বিরিয়ানিততে-আলু, ঝালমুড়িতে মুড়ি এবং আলু, এমনকি, বাঙালির প্রিয় মাংসের সঙ্গেও আলু থাকা জরুরি। দেখা যায় যে মুখোরচক খাবারগুলো ‘ডাবল কার্বিং’ এর অন্যতম উৎস। যেমন—মোগলাই পরোটার সঙ্গে আলুর তরকারি, আলু-পরোটা, শিঙাড়া; এই সবই ‘ডাবল কার্বিং’ এর উদাহরণ। অনেকে ভাত-রুটি একসঙ্গে খান। খিচুড়ির সঙ্গেও খাওয়া হয় আলুরদম, আলুভাজা অথবা আলুর বড়া। এসব খাবার অধিকমাত্রায় খেলে মেদ ঝরানো কঠিন হতে পারে।
‘ডাবল কার্বিং’ খাবার খেলে শরীরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা বেড়ে যায়। যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করা হঠাৎ বাড়লে আরও বেশি খাবার গ্রহণের আগ্রহ বাড়তে পারে। এতে ওজন ঝরানো কটিন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
যে অভ্যাসটি আপনার জীবনকে আমূল পাল্টে দিতে পারে
নিজের সেরা ভার্সন হতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরামর্শ জেনে নিন
পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিবেলায় খাবারে একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রেখে তার সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখুন। ভাতের সঙ্গে আলু ছাড়া সব্জি অথবা পনির বা বা চিকেন রাখুন। বা লুচি-পরোটার সঙ্গে আলু ভাজির বদলে নিতে পারেন ডাল বা কম শর্করার কাচা কলার তরকারি।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড বল ক র ব
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।